বাঙ্গালীকে চীনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে এগিয়ে এলেন কলকাতা হাইকোর্ট

0
692

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- পুজোর মরসুমে ভয়ানক আকার ধারণ করতে পারে কোভিড সংক্রমণ। এ ব্যাপারে বারবার সতর্ক করছেন চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানীরা । তারা মনে করছেন,পুজোর সপ্তাহ এবং তার পরের সময়টা খুবই আপদকালীন পরিস্থিতি আসতে চলেছে, এমন জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আগাম তৈরি থাকতে বলা হয়েছে রাজ্য সরকারকে। তার উপরে শীতের সময়ে আর‌ও বাড়তে পারে প্রকোপ।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জরুরী ভিত্তিতে স্বাস্থ্য দফতর রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে ১৬৩৯টি নতুন কোভিড বেডের ব্যবস্থা করেছে। এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে সংকটজনক রোগীদের জন্য অতিরিক্ত ৬৩৫টি আইসিইউ বেডেরও বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। অতএব মোট ২২৭৪টি নতুন বেডের ব্যবস্থা হচ্ছে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে। এখানে সরকারি খরচে চিকিৎসা হবে রোগীদের, অর্থাৎ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন রোগীরা। এছাড়াও জানা গিয়েছে, পুজোর মরশুমে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে কয়েকশো বেড বাড়ানো হচ্ছে।

পুজোর অনুমতি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে ঐতিহাসিক রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

এবার রাজ্যজুড়ে কোনও দুর্গাপুজো মণ্ডপে, ঠাকুর দেখতে জনসাধারণের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষেধ ।বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎ‍সব নিয়ে এমন নজিরবিহীন ঐতিহাসিক রায়ে হাইকোর্ট আরও বলেছে,প্রতিটি পুজো মণ্ডপ এ ‘নো এন্ট্রি’ বোর্ড লাগানো থাকতে হবে। সব পুজো প্যান্ডেল ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালত থেকে । বিচারপতিরা জানিয়েছেন, ছোট পুজোর প্যান্ডেলের শেষ সীমা থেকে থেকে ৫ মিটার এবং বড় পুজোর ক্ষেত্রে ১০ মিটার বাইরে ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলতে হবে এবং ওই পুজোর আশেপাশের এলাকাটি হবে ‘নো এন্ট্রি’ জোন। ছোট প্যান্ডেল হলে তার ৫ মিটারের মধ্যে এবং বড় প্যান্ডেল হলে তার ১০ মিটারের মধ্যে কোনও দর্শনার্থী কে প্রবেশ করতে দেওয়া হবেনা।মণ্ডপের মধ্যে কারা কারা প্রবেশ করতে পারবেন, এবং সেখানে কারা থাকতে পারবে সেটাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে আদালত থেকে । বিচারপতি দের বক্তব্য, পুজো উদ্যোক্তাদের ১৫ থেকে সর্বাধিক ২৫ জনের একটি তালিকা তৈরি করতে হবে। একমাত্র কিছু বাছাই করা লোক ই মণ্ডপের  ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন। মণ্ডপের বাইরে সেই তালিকা টাঙিয়ে রাখতে হবে, কোনওভাবেই নামের তালিকা পরিবর্তন যেন না করা হয়।

একইসঙ্গে আদালতের সমস্ত নির্দেশ পুজো কমিটি গুলো মেনে চলছে কিনা তা ৫ নভেম্বরের মধ্যে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে হলফনামা দিয়ে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে।

পুজোর মাসের প্রথম দিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছিলেন কলকাতার চিকিৎসকরা। সেই চিঠিতে চিকিৎসকেরা লিখেছিলেন, দুর্গাপুজোর সময় কড়া বিধিনিষেধ জারি না হলে বাংলায় পুজোর পরে করোনা সংক্রমণ ভয়ানক আকার নেবে। এর জন্যে করোনা সংক্রমণ আটকাতে জোরকদমে এগিয়ে চলছে রাজ্য সরকার।

পুজোর মধ্যে মারাত্মক ভাবে বাড়তে পারে সংক্রমণ, এ ব্যাপারে বারবার সতর্ক করা হয়েছে অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের তরফ থেকে,তাঁদের মতে পুজোর সপ্তাহ এবং তার পরের সময়টা ভয়ঙ্কর হতে পারে। কার্যত সুনামির আকারে ধেয়ে আসতে পারে সংক্রমণের ঢেউ।

সংক্রমণ এবং সংক্রমণ পরবর্তী অবস্থার কথা ভেবেই রাজ্য সরকার সমস্ত হাসপাতাল গুলি তে কোভিড বেড বাড়াবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যাতে কোনোভাবেই সংক্রমণের কারণে মানুষের মৃত্যু না হয় এবং যাতে সমস্ত মানুষ সঠিক চিকিৎসা পায়।