ভারতের নৌসীমান্তে ঢুকলো আমেরিকা – ভারতের সার্বভৌমত্বে উঠলো প্রশ্ন

0
576

বঙ্গদেশ ডেস্ক: চিনের দাদাগিরির জবাব হিসেবে ভারত-আমেরিকা যখন সামরিক সহযোগিতাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছে, তখন তাল কাটার মতো এক খবর প্রকাশ্যে এল। লাক্ষাদ্বীপের কাছে  মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ বিনা অনুমতিতেই ভারতের জলসীমায় প্রবেশ করেছিল। আর আমেরিকার নৌসেনার তরফেই এক বিবৃতি জারি করে এই কথা জানানো হয়েছে। যা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নিয়ে ভারতের তৈরি নিয়মকে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানানো বলেই অনেকে মনে করছে। যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে ভারতের তরফে এখনও সরকারি ভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবুও এস জৈশংকর বলেছেন যে পুরো বিষয়টা ওপর ভারত গভীর নজর রেখেছে।

ভারত ও আমেরিকা কোয়্যাদ গ্রুপ এর সদস্য হওয়ার জন্য চিনের চোখরাঙানির মাঝে একের পর এক ইন্দো-মার্কিন সামরিক মহড়া, সামরিক লেনদেন এশিয়া মহাদেশে ভারতের অবস্থান মজবুত করছিল। শুধু আমেরিকাই নয় ইউরোপের কয়েকটি দেশ এবং জাপান, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গেও জোট বেঁধে নৌ মহড়া চালাচ্ছে ভারত। কিন্তু এর মধ্যেই আমেরিকার সপ্তম নৌ বহরের ‘ইউএসএস জন পল জোনস’ জাহাজ লাক্ষাদ্বীপের পশ্চিমে ১৩০ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে প্রবেশ করে যাওয়ার খবর সামনে এল। এটি ভারতের বিশেষ আর্থৈনিতক জোনের মধ্যে পড়ে। বিনা অনুমতিতে মার্কিন রণতরীর এই এলাকায় প্রবেশ নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে। যদিও আমেরিকা বলেছে এটি তাদের স্বাধীনতার মধ্যে পড়ে।

ভারতীয় নৌ বাহিনীর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, লাক্ষাদ্বীপের কাছে ভারতের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল অনেকটা আন্তর্জাতিক জলসীমার মধ্যে পড়ে। এই এলাকায় চিনের নজরাদরী জাহাজ ঢুকলেও ভারতীয় নৌ বাহিনী তাদের তাড়া করে বার করে দেয়। এই অঞ্চলে ভারত-সহ যে কোনও দেশের সামরিক সরঞ্চাম বহনকারী কোনও জাহাজ প্রবেশের আগে অনুমতি নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু আমেরিকা তা মানেনি। আবার মার্কিন জাহাজের প্রবেশ করার কথা সে দেশের তরফেই বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে। চলতি কূটনৈতিক সম্পর্কের মাঝে যা বেশ বেমানান। এখন দেখার ভারতের তরফে কী বার্তা দেওয়া হয়। তবে এর ফলে চিন বিরোধী জোট আক্রান্ত হবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।