জম্মু-কাশ্মীরে পাক সীমান্তে আরও কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন ভারতের

0
612

বঙ্গদেশ ডেস্ক: গত কয়েকমাস ধরে লাদাখ সীমান্তে উত্তেজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ভারত ও চিনের মধ্যে৷ আকাশে উড়ছে যুদ্ধবিমান, চলছে আলাপ আলোচনা। এই পরিস্থিতির মধ্যেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে প্রচুর পরিমাণে সেনা মোতায়েন করল ভার‍ত।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভারত এবং পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তে ৩০০০ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। রাতারাতি কেন এই সিদ্ধান্ত, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। জানা যাচ্ছে যে অতিরিক্ত এই বাহিনীকে মূলত কাশ্মীর সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে।

গোয়েন্দা সূত্রের খবর অনুযায়ী, সীমান্ত পেরিয়ে হামলা চালাতে পারে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। শুধু তাই নয়, গোয়েন্দা দফতরের খবর অনুযায়ী লাদাখে উত্তেজনার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গত কয়েকমাস জঙ্গি অনুপ্রবেশ আরও বাড়িয়েছে পাকিস্তান। আর তা রুখতেই এহেন কঠোর সিদ্ধান্ত ভারতীয় সেনার।

অন্যদিক থেকে প্রাপ্ত খবর, লাদাখে চিন-ভারত সংঘাতের আবহে সীমান্তের ওপারে সেনা সংখ্যা বাড়িয়েছে পাকিস্তান। গত কয়েকমাস ধরে লাগাতার বিনা প্ররোচনায় সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে আসছে পাক-সেনা। সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাগুলিকে মূলত টার্গেট করা হচ্ছে। কড়া ভাষায় জবাব দেওয়ার উদ্দেশ্যেই সীমান্তে আরও বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত বলে ভারতীয় সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে।

উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন আগেই জম্মু কাশ্মীর সফরে যান সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে এবং পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। এছাড়াও শোনা যাচ্ছে, জম্মু কাশ্মীরের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও সেনা কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন সেনা প্রধান। এরপরেই সীমান্তে বাড়তি সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় সেনার শীর্ষ কর্তারা।

প্রসঙ্গত, ২৯ ও ৩০ অগাষ্টের মধ্যবর্তী রাতেও বর্ডার লাইন পার করে এগিয়ে এসেছিল চিনা সেনা। এই অবস্থায় সীমান্ত পরিদর্শনে একদিনের সফরে যান সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে। ভারতীয় সেনার অবস্থান ঘুরে ঘুরে দেখেন তিনি।

সেনা সূত্রে খবর, ফিল্ড কমান্ডাররা লাদাখের বর্তমান পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন তাঁর কাছে। ইতিমধ্যেই লাদাখের প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্তের দখল নিয়েছে ভারতীয় সেনা। ১৯৬২ সালের যুদ্ধে পার্বত্য এলাকার যে অঞ্চল দখল নিয়েছিল চিন, সেই এলাকাতেও উড়ছে ভারতের জাতীয় পতাকা। এই পার্বত্য এলাকার মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি উপত্যকা ও পর্বত।

রাজ্যসভায় রাজনাথ সিং জানান যে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখে অন্তত ৩৮,০০০ বর্গ কিমি এলাকা বেআইনি ভাবে দখল করে রেখে দিয়েছে চিন। এর পাশাপাশি তথাকথিত ১৯৬৩-র Sino-Pakistan Boundary Agreement অনুযায়ী পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৫১৮০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা পাকিস্তান চিনকে দিয়েছে ফের মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।