প্রতিপক্ষের রাতের ঘুম কেড়ে নিলো লেজার গাইডেড অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইল, শক্তি বৃদ্ধি ভারতের

0
657

অর্জুন ট্যাঙ্ক থেকে লেজার গাইডেড অ্যান্টি ট্যাংক গাইডেড মিসাইলের উৎক্ষেপণ সফল হল। এর ফলে রণভূমিতে ভারত আরোও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠবে বলেই আশা করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা। আহমেদনগরের আর্ম কর্প সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে গত ২২ শে সেপ্টেম্বর অর্থাৎ মঙ্গলবার এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত লক্ষ্যবস্তুকে নির্ভুলভাবে টার্গেট করতে সক্ষম। এই বিশেষ কৃতিত্বের জন্য প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনকে। তিনি বলেছেন, আশা করছি অদূর ভবিষ্যতে ভারতের প্রতিরক্ষা আরোও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ কাউন্সিল ভারতীয় নৌবাহিনী এবং ভারতীয় বিমানবাহিনীর জন্য ‘স্মার্ট অ্যান্টি-এয়ারফিল্ড অস্ত্র’ বা SAAW-কে আরও উন্নত করেছে।

প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও) দ্বারা নির্মিত, SAAW প্রায় ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দ্রুতগামী এবং ওজন প্রায় ১২৫ কেজি।

আনুমানিক ৯৭০ কোটি টাকা ব্যয় করে যে অস্ত্রটি সংগ্রহ করা হচ্ছে, শত্রুপক্ষকে আক্রমণের সময় তা বিমান বাহিনী এবং নৌবাহিনীকে উচ্চ ক্ষমতা প্রদান করতে সক্ষম।

এই অস্ত্রটি স্ট্যান্ডঅফ রেঞ্জ থেকে ব্যবহারযোগ্য। শত্রুপক্ষ থেকে নিরাপদ দূরত্বে রেখে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। অনেক ক্ষেত্রেই, ভারতীয় বিমানবাহিনীর আইএএফ যোদ্ধারা এই অস্ত্র গুলি চালনা করতে পারে।

SAAW ছাড়াও, ডিএসি ভারতীয় সেনা এবং বিমান বাহিনীর ফিল্ড ইউনিটগুলির জন্য আনুমানিক ৫৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে স্ট্যাটিক এইচএফ ট্রান্স-রিসিভার সেট সংগ্রহ করেছে যা নির্বিঘ্নে যোগাযোগ করতে সক্ষম।

স্বরাজ্যম্যাগের প্রতিবেদন থেকে জানা যায় ডিআরডিও জানিয়েছেন, এই মিসাইলটি প্রতিপক্ষের সাঁজোয়া ট্যাঙ্কগুলিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিতে পারবে। আর এই মিসাইলটি যেকোনো লঞ্চার থেকেই ব্যবহারযোগ্য। প্রথম দিনে অর্জুন ট্যাংক থেকে এই মিসাইলটি ছাড়া হয়েছিল। মিসাইল তৈরি করেছে পুনের আর্মেন্ট রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এস্টাবলিশমেন্ট সহযোগিতায় ছিল পুনের হাই এনার্জি ম্যাটেরিয়ালস রিসার্চ ল্যাবরেটরি আর দেরাদুনের ইন্সট্রুমেন্ট রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট।

মঙ্গলবার‌ই ওড়িশার বালাসোর থেকে সফল উৎক্ষেপণ করা হয়েছে উচ্চগতির এক্সপেন্ডেবল এরিয়াল টার্গেট যান ‘অভয়াস’-এর। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে এই যানটি। তৈরির কৃতিত্ব প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থার। মঙ্গলবার পরপর দুটি যান সফল পরীক্ষা করে দেখা গেছে যেকোনো মিসাইল সিস্টেমের সঙ্গেই এটি ব্যবহার করা যাবে। ডিআরডিও-র অ্যারোনেটিকাল ডেভলপমেন্ট এস্টাবলিশমেন্টে এর নকশা তৈরি করেছে ।এই যানদুটি আন্ডারলং বুস্টার ব্যবহার করে চালু করা হয়েছে। একটি ছোট গ্যাসের টারবাইন ইঞ্জিনের সাহায্যে এটি চলে। দিকনির্দেশনা আর নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করা হবে ফ্লাইট কন্ট্রোল কম্পিউটার। গ্রাউন্ড বেস কোন‌ও কম্পিউটারের মাধ্যমে পরিচালনা করা যাবে বলেও জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর চাঁদপুরের ইন্টিগ্রেটেড স্টেট রেঞ্জ থেকে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা বিভিন্ন রাডার আর ইলেকট্রো-অপটিক সিস্টেমের মাধ্যমে পুরো বিষয়টিকে ট্র্যাক করেছিল।