বরাদ্দ খাদ্যশস্যের মাত্র ১৩ শতাংশ পেয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা

বঙ্গদেশ ডেস্ক: স্বাধীনতা উত্তর ভারতবর্ষে সম্ভবত এই প্রথমবার কৃষক ছাড়াও শ্রমিক স্বার্থ নিয়ে আওয়াজ উঠেছিল। যথারীতি বিরোধীদের বক্তব্যে গুরুত্ব আরোপ করে এবং এই সমস্যার সমাধানের জন্য “আত্মনির্ভর ভারত” প্রকল্পের অন্তরে কেন্দ্র মে ও জুন মাসে গোটা দেশের পরিযায়ী শ্রমিকদের বিনামুল্যে বিতরনের জন্য ৮ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ করে। কিন্তু তার মধ্যে মাত্র ১৩ শতাংশ শস্যের সদ্ব্যবহার করতে পেরেছে রাজ্যগুলি! কেন্দ্রীয় উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী এমনই চাঞ্চল্যকর খবর সামনে এল।

১৪ই মে নির্মলা সীতারমন জানিয়েছিলেন যে এই প্রকল্পের অন্তরে মোট ৮ কোটি পরিযায়ী শ্রমিক লাভবান হয়েছে। কিন্তু উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তরের তথ্য বলছে অন্য গল্প। ৮ কোটি পরিযায়ী শ্রমিক তো নয়ই, মে ও জুন মাসে সবমিলিয়ে মাত্র ২.১৩ কোটি পরিযায়ী শ্রমিক বিনামুল্যে ৫কেজি করে খাদ্যশস্য পেয়েছেন।

তথ্য অনুযায়ী, মোট ৩৬টি প্রদেশ ৮ লাখ মেট্রিক টনের ৮০ শতাংশ অর্থাৎ ৬.৪ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য তোলে। কিন্তু তারা জুনের শেষ অবধি সবমিলিয়ে মাত্র ১.০৭ মেট্রিক টন শস্য বিতরন করতে পেরেছে। অনেক রাজ্য আবার দুইমাসের জন্য বরাদ্দের সবটা নেওয়ার পরেও খাদ্যশস্য বিতরনই করেনি।

দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশী খাদ্যশস্য বরাদ্দ করা হয়েছিল উত্তরপ্রদেশকে। মোট ১,৪২,০০৩ মেট্রিক টনের মধ্যে তারা বিতরন করেছে ১৪০,৬৩৭ মেট্রিক টন শস্য। বিহারও তাদের বরাদ্দের সম্পুর্ণ শস্য তুলেছিল। তবে ৮৬৪৫০ মেট্রিক টনের মধ্যে তারা মাত্র ১৮৪২ মেট্রিক টন শস্য বিতরন করতে পেরেছে।

অন্ধ্রপ্রদেশ, গোয়া, গুজরাট, ঝাড়খন্ড, লাদাখ, মহারাষ্ট্র, উড়িষ্যা, তেলেঙ্গানা, ত্রিপুরা, সিকিম, তামিলনাড়ু, মেঘালয়ের মত রাজ্যগুলি প্রাপ্ত শস্যের ১ শতাংশও বিতরন করেনি। ৬-৭ টি রাজ্য কেন্দ্রকে চিঠি লিখে জানিয়েছে যে তাদের রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের দল চলে যাওয়ায় তারা খাদ্যশস্য বিতরন করতে সক্ষম নন৷

ভার্চুয়াল মিডিয়া কনফারেন্সে উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী রাম বিলাস পাসওয়ান বলেছেন ” কিছু রাজ্য গরীবদের বিনামুল্যে খাদ্যশস্য দিচ্ছেনা, এটা সত্যিই চিন্তার বিষয়। দরিদ্রদের প্রতি তাদের সংবেদনশীল হওয়া উচিত। যদি রাজ্যগুলি বিনামুল্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের খাদ্যশস্য দেয়, তবে আমাদেরও সেই রাজ্যকে পর্যাপ্ত শস্য দিতে কোনো আপত্তি নেই৷ আমি বুঝতে পারছিনা বিতরন করতে সমস্যাটা কোথায় হচ্ছে। আমরা এই বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে বিচার করছি৷ “