তথাকথিত আন্দোলনরত কৃষকদের “লালসার শিকার” ইন্ডিয়া টুডের সম্পাদিকা প্রীতি চৌধুরী

0
706

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- ইন্ডিয়া টুডের সম্পাদিকা প্রীতি চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, কিছু প্রতিবাদী কৃষক বিক্ষোভ চলাকালীন মহিলা সাংবাদিকদের যৌন হয়রানি করছেন। তিনি টুইট করে বলেছেন, ‘অবক্ষয় বিশাল আকার ধারণ করেছে’। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে একথাও বলেছেন, সাংবাদিকদের যৌন হয়রানি করা হচ্ছে এবং উপস্থিত অন্যান্যরা তা চোখের সামনে হতে দিচ্ছে।

প্রীতি চৌধুরী দাবি করেছেন যে, আন্দোলনরত কৃষকদের একাংশ সাংবাদিকদের যৌন হয়রানি করছে। তিনি বলেছেন, সত্য উন্মোচনের জন্য পর্যাপ্ত তথ্য তার হাতে মজুত রয়েছে। ভূপেন্দ্র চৌধুরী নামের একজন, ‘গর্বিত কংগ্রেসী’ সমর্থক এবং ‘ভারত কিষাণ ইউনিয়নের সদস্য'( টুইটারের বায়োতে উল্লেখিত) এই যৌন হেনস্থাকে ন্যায্যতা দেওয়ার চেষ্টা করে বলেছেন যে ‘খবরলোভী সাংবাদিক’ ‘জোর করে’ নিউজ বাইট নেওয়ার চেষ্টা করেছিল তাই যা হওয়া উচিত তাই-ই হয়েছে।

প্রীতি চৌধুরী বলেন, কোনও সাংবাদিক কীভাবে তার কাজ করছেন সে সম্পর্কে অনেকের ধারণা স্পষ্ট নয়। ধরা গেল, সাংবাদিক নাছোড়বান্দা হয়ে জোড়াজুড়ি করছে কিন্তু সেজন্য যৌন হয়রানি ন্যায্য বলে গণ্য হতে পারে না। তিনি একথাও বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি ‘বাইট’ দিতে না চান তবে তিনি দেবেন না কিন্তু সেই জন্য “নিতম্বে খোঁচা” দেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। প্রীতি চৌধুরী দাবি করেছেন, যে আন্দোলনরত কৃষকদের একাংশ মহিলা সাংবাদিকদের নিতম্বে অশালীনভাবে স্পর্শ করেছেন‌।

এদিকে, কেন্দ্রীয় সরকার ও কৃষক ইউনিয়নের মধ্যে আট দফায় আলোচনার পরেও রফাসূত্র বেরোয়নি। এবং ফলত বিক্ষোভকারীরা তাদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে আরও চাপ দিতে শুরু করেছে। রেওয়ারীর গাঙ্গাইচা সীমান্তে নতুন করে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে।

এখনও অবধি সিঙ্ঘু বর্ডার‌ই বিক্ষোভের মূল কেন্দ্রবিন্দু, যেখানে তথাকথিত কৃষকরা নয়া কৃষি আইনের বিলের বিরোধিতা করে আন্দোলন শুরু করেছে। বিক্ষোভকারীরা তাদের সিদ্ধান্তে অনড়। তিনটি কৃষি আইন বাতিল করার দাবিতে তাদের বিক্ষোভ এবং কেন্দ্রীয় সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, যে আইন প্রণয়নের আগে আলাপ আলোচনা করে পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে।