বঙ্গদেশ ডেস্ক – ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সাথে টেলিফোনে আলাপচারিতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত সোমবার সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা ও উগ্রবাদ বিরোধী লড়াইয়ে ফ্রান্সকে ভারতের পুরোপুরি সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
আলোচনার সময় মোদী ফ্রান্সের সাম্প্রতিক সন্ত্রাসবাদী হামলার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে এক বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে।
Spoke with my friend @EmmanuelMacron on the challenges and opportunities presented by the post-COVID world. India stands by France in its fight against terrorism & extremism. The India-France partnership is a force for good in the world, including in the Indo-Pacific.
— Narendra Modi (@narendramodi) December 7, 2020
তিনি বলেন, ভারত-ফ্রান্স অংশীদারিত্ব, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চল সহ গোটা বিশ্বের জন্যে একটি শুভ শক্তি। টেলিফোনে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদ ও উগ্রবাদ বিরোধী লড়াইয়ে ফ্রান্সের প্রতি ভারতের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
ফ্রান্স সম্প্রতি পরপর একাধিক সন্ত্রাসবাদী হামলার শিকার হয়েছে। ১ অক্টোবর স্কুলের বাইরে স্যামুয়েল প্যাটি নামক একজন ইতিহাস শিক্ষককে শিরশ্ছেদ করে হত্যা করা হয়েছিল। হত্যাকারী চেচনীয়া থেকে আগত মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ ছিলেন। আবার ২৯ অক্টোবর, সম্প্রতি তিউনিসিয়া থেকে ফ্রান্সে আগত এক জিহাদি নিস গির্জার সামনে একটি চাকু দিয়ে তিনজনকে হত্যা করেছিল।
তাঁদের কথোপকথনের সময়, মোদী এবং ম্যাক্রোঁ পারস্পরিক স্বার্থের জন্য অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক বিষয়গুলি নিয়েও আলোচনা করেছেন। এরমধ্যে কোভিড -১৯ ভ্যাকসিনের সাশ্রয় ও অ্যাক্সেসিবিলিটি উন্নত করা, কোভিড পরবর্তী সময়ে অর্থনৈতিক অবস্থার পুনরুদ্ধার, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সহযোগিতা, সামুদ্রিক সুরক্ষা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, ডিজিটাল অর্থনীতি এবং সাইবার সুরক্ষার মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিও ছিল। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন ও জীব বৈচিত্র্যর বিষয়েও আলোচনা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয় দু’দেশের নেতারা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারত-ফ্রান্স কৌশলগত অংশীদারিত্বর গভীরতা বাড়িয়েছেন। কোভিড-পরবর্তী যুগে পারস্পরিক উন্নতির জন্যে, একত্রে নিবিড়ভাবে কাজ চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছেন বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
জনস্বাস্থ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী মোদী ভারতে রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রোঁকে স্বাগত জানাতেও তাঁর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।