ভারত মহাসাগরে চীনকে টেক্কা ভারতের, নবম সাবমেরিন ধ্বংসী পি-৮ এয়ারক্রাফ্টটি এসে গেল

0
580

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- ভারতীয় নৌবাহিনী গতকাল বোয়িংয়ের কাছ থেকে নবম পি ৮-আই লং-রেঞ্জের সামুদ্রিক ডুবোজাহাজ সন্ধানী এবং সাবমেরিন বিধ্বংসী যুদ্ধবিমানটির ডেলিভারি পেয়ে গেছে।

ভারতের কেনা চারটি পি ৮ – আই দ্বিতীয় ব্যাচের চারটি বিমাণের প্রথম বিমানটি হাওয়াই, গুয়াম এবং ব্রুনাইয়ে থামার পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল হয়ে গোয়ায় এসে পৌঁছেছিল।

প্রথম ব্যাচে অর্ডার দেওয়া এই বিমানগুলির মধ্যে আটটি ইতিমধ্যেই সরবরাহ করা হয়েছে এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর সার্ভিসে রয়েছে।

ভারতীয় নৌবাহিনী, পি ৮ প্ল্যাটফর্মটির বৃহত্তম বিদেশী গ্রাহক (আমেরিকার বাইরে)। আটখানা বিমান ইতিমধ্যে ভারতীয় বাহিনীর নিরিক্ষণে পরিষেবাতে উপযোগী সাব্যস্ত হওয়ার পরে, চারটির (আজ একটি এসে উপস্থিত হয়েছে) আরও অর্ডার দেওয়া হয়েছিল এবং আরও ছয়টি কেনা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চিনের গতিবিধির দিকে নজর রাখার জন্য আগামী কয়েক বছরে এই বিমানগুলির সংখ্যা বাড়িয়ে মোট ২২ টিকে সার্ভিসে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে, বিশেষত চীনের সাবমেরিনগুলির বিরুদ্ধে এগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে, সূত্র স্বরাজ্য ম্যাগাজিনের।

বোয়িং-এর এই ভিডীওটি খুব সুন্দরভাবে দেখাচ্ছে কিভাবে ভারতীয় নেভী পি-৮ এয়ারক্রাফটকে কাজে লাগাচ্ছে

বিমানটি এমন সময়ে এসে পৌঁছেছে যখন ভারতীয় নৌবাহিনী তার কোয়াড অংশীদার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়াকে সাথে নিয়ে আরব সাগরে মালাবার নৌ মহড়া চালাচ্ছে। ভারতের পি – ৮ আই বিমানও অনুশীলনে অংশ নিচ্ছে।ভারত ছাড়াও আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া পি ৮ বিমান ব্যবহার করে।

পূর্ব লাদাখের চলমান স্থবিরতার মধ্যেও ভারত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চীনের সৈন্য বিন্যাস ও স্থাপনা ট্র্যাক করতে এই বিমানটিকেই ব্যবহার করেছে।ইন্ডিয়ান নেভির পি ৮ -কে দু’বার লেহ লাদাখের দিকে উড়তে দেখা গেছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনী ৭৩-দিন ব্যাপী ডোকলাম স্ট্যান্ড অফের সময় সীমান্তে চীনা চলাচল পর্যবেক্ষণ করতে সফলভাবে পি – ৮ আই বিমানের ব্যবহার করেছিল। ক্যাপ্টেন ডি কে শর্মা (অবসরপ্রাপ্ত), যিনি ভারতীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্র এবং পাবলিক রিলেশন অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন, সম্প্রতি মন্তব্য করেছিলেন, “বিমানটি ডোকলাম স্ট্যান্ড-অফের সময় ডেটা লাইভ স্ট্রিমিং করছিল যাতে করে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধে হচ্ছিল”।

এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, গত বছর পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলার পরে পাকিস্তানি সেনাদের গতিবিধির দিকে নজর রাখার জন্যও বিমানটি ব্যবহার করা হয়েছিল।