অমানবিক সরকারী হাসপাতাল,রোগীর পা থেকে ট্র‍্যাকশন খুলে দিলেন আয়া

বঙ্গদেশ ডেস্ক : দাবীমতো টাকা না মেটাতে পারলে বেসরকারী হাসপাতালের অমানবিক কাজকর্ম মাঝে মাঝেই প্রকাশ্যে আসে। কিন্তু সরকারী হাসপাতালেও এমন অসাধু চক্র যে বেশ ভালোমতোই রয়েছে, তা টের পেলেন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক রোগীর পরিবার। একশ্রেনীর সরকারী স্বাস্থ্যকর্মী বেআইনিভাবে টাকা চাওয়াটাকে অভ্যাসে পর্যবসিত করে ফেলেছে তা প্রমান হলো এই ঘটনায়।

জুন মাসে গাছ থেকে পড়ে পা ভেঙে যায় বর্ধমান ১ ব্লকের সিজেপাড়ার বাসিন্দা শেখ আনোয়ারের। ২৪ শে জুন হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই তার অপারেশন হয়। অপারেশনের পরে পা ট্র‍্যাকশন দিয়ে ঝুলিয়ে দিতে বলেন ডাক্তারেরা। সেইমতো ট্র‍্যাকশনের সরঞ্জাম বাইরে থেকে কিনে আনাও হয়। ট্র‍্যাকশন লাগিয়ে দেন হাসপাতালেরই আয়া মানা সামন্ত।

রোগীর আত্মীয়েরা জানান ট্র‍্যাকশন লাগিয়ে দেবার পর ওই আয়া ২০০ টাকা বকশিস চান কিন্তু হতদরিদ্র পরিবার তা দিতে পারবেন না জানান, শেষে ১০০ টাকা দিতে চান। কিন্তু ঐ আয়া তাতে সন্তষ্ট না হয়ে রোগীর পা থেকে ট্র‍্যাকশন টেনে হিঁচড়ে খুলে দেন। এর পরেই রোগীর আত্মীয়রা ২৫ শে জুন হাসপাতালের সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

রোগীর পরিবার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এনেছেন তাতে ওই আয়াকে দুর্ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে ও ট্র‍্যাকশন খুলতেও দেখা যাচ্ছে।  হাসপাতালের সুপারের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ‘‘বিষয়টি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমরা অভিযুক্ত আয়াকে সাসপেন্ড করেছি।’’

অভিযুক্ত আয়া মানা সামন্ত মঙ্গলবার হাসপাতালে আসলেও তিনি কোন আধিকারিকের দেখা পাননি। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান ” ‘‘কাজ করে বকশিশ হিসেবে টাকা চেয়েছিলাম। কিন্তু যে ঘটনা ঘটেছে সেটা ভুল হয়ে গেছে। আমি ক্ষমা চেয়ে কাজে ফিরতে চাই।’’