চীনের টার্গেট ভারত!ভুয়ো অ্যাপ চক্রের মাধ্যমে অর্থ লুঠচক্রের হদিশ হায়দ্রাবাদে

0
475

বঙ্গদেশ ডেস্ক:‌ অ্যাপের মাধ্যমে লোভনীয় ঋণ দেওয়ার টোপ। পরিমাণের চেয়ে বেশি সুদ-সহ টাকা ফেরত নেওয়ার পর আবারও টাকা চেয়ে লাগাতার হুমকি। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল হায়দ্রাবাদের চার প্রতারক। ধৃতদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত একজন চীনা নাগরিক। অভিযুক্ত এই ব্যক্তি ওই সংস্থার মালিক, জিজিয়া ঝ্যাং। পরিস্থিতি আঁচ পেয়ে সে ও তার সহযোগী উমাপতি চম্পট দিয়েছে।

কোন পদ্ধতিতে কাজ করত ওই গ্যাং? পুলিশ জানিয়েছে, একটি বা দুটি নয়, মোট এগারোটি ইনস্ট্যান্ট লোন অ্যাপ তৈরি করে প্লে-স্টোরে আপলোড করে দিয়েছিল অভিযুক্ত জিজিয়া। সেগুলি ব্যবহার করে ঋণ দেওয়া হত। হ্যাপি ক্যাশ, লোন কার্ড, মিন্ট ক্যাশ, রিপে ওয়ান, মানি বক্স, মাঙ্কি বক্স ইত্যাদি অ্যাপের সাহায্যেই ফাঁদ পাতত ওই প্রতারণা চক্র। একবার পা দিতেই সর্বনাশ নেমে আসতো জীবনে ।

ক্রমশ জমা হচ্ছিল অভিযোগ। এক এক করে আটটি মামলা রুজু হয়। এর‌ই মধ্যে এক ব্যক্তি গত ১৭ ডিসেম্বর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। নিজের দুর্ভাগ্যের কথা সবিস্তারে জানান তিনি। তিনি সব মিলিয়ে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ঋণ নেন। কিন্তু চড়া সুদ-সহ ২ লক্ষ টাকা পরিশোধ করতে হয় তাঁকে। এরপরেও বিভিন্ন মোবাইল নম্বর থেকে ক্রমাগত ফোন আসতে থাকে। রীতিমতো গালিগালাজ ও হুমকি দেওয়া হয় আরও টাকা দেওয়ার জন্য। ভুয়ো আইনি নোটিশ পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেলও করা হয়। অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি।

গত শুক্রবার ‘কুবেভো টেকনোলজি প্রাইভেট লিমিটেড’ নামের এক কল সেন্টারে আচমকা হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। যাদের মধ্যে অন্যতম পাণ্ডা চীনা নাগরিক ওয়াই বাই ওরফে ডেনিস। ধৃতদের কাছে একটি ল্যাপটপসহ চারটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে নগদ ২ কোটি টাকা।

পুলিশের বক্তব্য, সংস্থার প্রধান দপ্তর হিসেবে নাম রয়েছে ‘স্কাইলাইন ইনোভেশনস টেকনোলজিস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড’-র। এটি দিল্লিতে অবস্থিত। আপাতত উমাপতি ও জিজিয়া ঝ্যাংকে খোঁজার জন্য তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

শুধুমাত্র এই প্রথম নয়, এর আগেও ভারত সরকার বহু চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছেন ডাটা চুরির অপরাধে। তারপরেও চীনা নাগরিকরা গোপনে ভারতীয় অর্থ ও তথ্য লুটের পরিকল্পনা করে যাচ্ছে।