কংগ্রেসের নেতৃত্ব দিতে কি রাহুল ভয় পাচ্ছেন, উঠছে প্রশ্ন

0
450

বঙ্গদেশ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগেও তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তোপ দাগতেন৷ লোকসভা ভোট মিটে যাওয়ার পরও সব বিষয়ে মোদীর দোষ খোঁজার কাজে তিনি বিরত হননি৷

তবে পার্থক্য শুধু একটাই ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে তিনি ছিলেন কংগ্রেসের সভাপতি৷ আর এখন শুধুই একজন সাংসদ৷ মোদীর কাছে ভোটে ভরাডুবি হওয়ার পর তিনি কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন৷

কংগ্রেসের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে রাহুল গান্ধী আর দলের দায়িত্ব নিতে নারাজ৷ তিনি সরে যাওয়ার পর কংগ্রেসের দায়িত্ব নিয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী৷ আপাতত সোনিয়া কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভানেত্রী৷ কিন্তু এই এক বছরে জাতীয় রাজনীতিতে অনেক পালাবদল হয়ে গিয়েছে৷

কর্নাটকে কংগ্রেসের বিধায়করা বিদ্রোহ করে দল ছেড়েছেন৷ সেখানে জেডিএসের সঙ্গে জোট সরকার ভেঙে গিয়েছে৷ কংগ্রেস এখন বিরোধী আসনে৷

মধ্যপ্রদেশেও মাস কয়েক আগে একই ছবি দেখা গিয়েছে৷ সেখানে গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন৷ তাঁর অনুগামীরাও বিজেপিতে এসেছেন৷ ফলে মধ্যপ্রদেশেও ক্ষমতা হারিয়েছে কংগ্রেস৷

এই পরিস্থিতিতে স্থায়ী সভাপতির দাবিতে কংগ্রেসের অন্দরেই বিদ্রোহের আগুন জ্বলতে শুরু করেছে৷ তাছাড়া দলের বিভিন্ন কর্মসূচি তৈরিতেও সমস্যা হচ্ছে বলে খবর৷ তার উপর অসুস্থতার কারণে আর দায়িত্ব চালিয়ে যেতে নারাজ সোনিয়া গান্ধী৷

ফলে এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের নেতৃত্ব কে দেবেন, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে সংকট৷