‘জয়হিন্দ’ মানে ভারতবন্দনা, তার সাথে পাকিস্তান সৃষ্টিকারী মুজিবের স্লোগান জুড়লে তা নেতাজীরই অপমান

-জয়দীপ ব্যানার্জী

নেতাজী যখন দেশবাসীকে জয়হিন্দ স্লোগান দিলেন তখন শেখ মুজিব মুসলিম লীগ করছেন। সুরাবর্দির চ্যালা হয়ে লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান স্লোগান দিচ্ছেন।  মুজিবদের কাছে তখন জয়হিন্দ, বন্দেমাতরম ইত্যাদি ভারতবন্দনার স্লোগান ছিল বিলকুল হারাম এবং ঘৃণ্য শব্দ।

১৯৪৬শে গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং ও নোয়াখালি গণহত্যার পর ১৯৪৭শে মুজিবরা ভারত ভেঙে পাকিস্তান নিয়ে নিল। তখন ওদের স্লোগান ছিল “পাকিস্তান জিন্দাবাদ।”

তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে নেতাজী সুভাষ নিয়ে শেখ মুজিব লিখেছেন [‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, পৃষ্ঠা ৩৫, ৩৬]:

“সুভাষ বাবু আসলে তো পাকিস্তান হবে না। পাকিস্তান না হলে দশ কোটি মুসলমানের কি হবে?”

পরবর্তীতে পাকিস্তানের উর্দু ভাষীদের দাপটে বিশেষ কিছু সুবিধা করতে না পেরে নিজের রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করার জন্য ১৯৭০-৭১এ এসে ২৫ লক্ষ বাঙ্গালী হিন্দুর মৃতদেহের ওপর দাঁড়িয়ে উনি বললেন “জয়বাংলা”।

এই জয় বাংলার অর্থ কি? এর অর্থ বাংলাদেশেরই নৌপরিবহন মন্ত্রী বিশ্লেষণ করে বলেছেন, জয় বাংলার অর্থ বাংলার জয় নয়, এর আসল অর্থ হলো বাংলার ওপর ইসলামের জয়…”

এই ইতিহাস পাড়ার চায়ের দোকানের পাঁচুও জানে।

তাহলে ভারতমায়ের বীর সন্তান নেতাজীর জন্মদিনে তাঁর দেওয়া “জয়হিন্দ” স্লোগানের সাথে ভারতভাগকারী পাকিস্তানের চক্রী শেখ মুজিবের স্লোগান একসাথে বলা হচ্ছে কোন উদ্দেশ্যে ?

বাঙ্গালীকে এতটাই বোকা মনে করেন নাকি বর্তমান সরকারের মাথায় বসে থাকা বামৈস্লামিকরা ? জয়হিন্দ, বন্দেমাতরম এর অর্থ হলো ভারতবন্দনা। ভারতবন্দনার পাশে পাকিস্তানের সৃজনকারীর দেওয়া সুযোগসন্ধানী ‘জয়বাংলা” স্লোগান দেওয়া বন্ধ করুন।

নেতাজীর ভারতপ্রেমী স্লোগানের সাথে ভারতভঙ্গকারীর স্লোগান মানুষ মেনে নেবেন না।
এতে নেতাজীর অপমান, বঙ্গবাসীর অপমান এবং সমগ্র ভারতের অপমান।