জেহাদের বলি রিঙ্কুর পাশে হিন্দুসমাজ, ২৪ ঘন্টায় ৫০ লাখ টাকা তুললেন কপিল মিশ্র

0
1079

বঙ্গদেশ ডেস্ক – বৃহত্তর হিন্দু ঐক্যকে নিয়ে বিদ্রুপ করার মত মানুষের অভাব নেই। হিন্দুরাও যে প্রয়োজনে এক হতে পারে সেই বার্তাই আবারও দিল, হিন্দুরাই। গত বৃহস্পতিবার পশ্চিম দিল্লির মাঙ্গোলপুরী অঞ্চল নিবাসী মাত্র ২৬ বছর বয়সের বজরং দল কর্মী রিঙ্কু শর্মাকে পিটিয়ে হত্যা করে কিছু ইসলামবাদী জেহাদী। এরপরে অনেকেরই আশা ছিল, দিল্লির বিধাতা কেজরিবাল তাদের পাশে দাঁড়াবেন। কিন্তু তিনি মৌনব্রত নেওয়ায়, বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র এবং বিজেপি নেতৃ বৈশালী পোদ্দার নিহতের পরিবারের জন্য তহবিল সংগ্রহের অভিযান শুরু করেন। এই প্রচারটি গতকাল শুরু হয়েছিল এবং মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৫০ লক্ষ টাকা সাহায্য আসে।

একটি টুইট বার্তায় কপিল মিশ্র বলেছিলেন, “বন্ধুরা, আমরা ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা তুলেছি। গোটা বিশ্বের মানুষ রিঙ্কু শর্মার পরিবারকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন। দিল্লির ছেলের নির্মম হত্যার পরেও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী একটি কথাও বলেননি। তিনি কিছু বলতে খুব ভয় পান, তাঁর ভয় নিজের ভোট ব্যাংক তাকে ছেড়ে যেতে পারে। আমরা কোনো সরকারী সহায়তা চাইছি না, তবে অরবিন্দ কেজরিবাল কি একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়েরই মুখ্যমন্ত্রী?”

“রিঙ্কুর পরিবার যাতে আর্থিক সঙ্কটে না ভোগে তা নিশ্চিত করতে যাঁরা এগিয়ে এসেছেন তাঁদের সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। সোমবার, আমি রিঙ্কুর পরিবারের সাথে দেখা করব। আশা করি, আমরা ততক্ষণে এক কোটি টাকা সংগ্রহ করতে পারব এবং পুরো টাকাই তার পরিবারের কাছে হস্তান্তরিত করব” দিল্লীর জাতীয়বাদী নেতা কপিল মিশ্র জানান।

ওপ ইন্ডিয়া তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, ক্রাউডক্যাশ ওয়েবসাইট (যার মাধ্যমে রিঙ্কু শর্মার পরিবারের জন্য তহবিল সংগ্রহ করা হয়েছে) -এর মাধ্যমে ৫০,০০,০২৪ টাকা জোগাড় হয়েছে। ৫,৪০০’রও বেশি হিন্দুরা এখনও পর্যন্ত অনুদান দিয়েছেন, অনুদান ১ টাকা থেকে শুরু করে ১,০০,০০০ টাকা। প্রচারের লক্ষ্য ৩০ দিনের মধ্যে ১ কোটি টাকা সংগ্রহ করা, যা নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই হয়তো পাওয়া যাবে।

কপিল মিশ্রের সঙ্গে তহবিল সংগ্রহের জন্য প্রচার চালাচ্ছেন যুব মোর্চার প্রাক্তন সহ-সভাপতি বৈশালী পোদ্দার। তিনি কয়েক ঘন্টা আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন যে ৩৮ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি সকল শুভাকাঙ্খীদের তহবিল সংগ্রহে সাহায্য করার এবং রিঙ্কু শর্মার পরিবারকে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন বলেও ওপ ইন্ডয়া তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে।

রিঙ্কুর হত্যার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে দিল্লি পুলিশ এ পর্যন্ত জাহিদ, মেহতাব, তাসউদ্দিন, নাসিরুদ্দিন, এবং মোহাম্মদ ইসলাম সহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। রিঙ্কুর বন্ধু আকাশ জানিয়েছে, রেস্তোঁরায় হওয়া লড়াইয়ের সাথে রিঙ্কু শর্মার কোনও সম্পর্ক ছিল না। জন্মদিনের পার্টিতে ঝগড়ার কারণে রিঙ্কু শর্মাকে হত্যা করা হয়েছে বলে যে তত্ত্বগুলি রটানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। সম্পূর্ণ ঘটনায় সাধারণ হিন্দুরা যেভাবে এই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে তা অত্যন্ত উৎসাহজনক। পাশাপাশি কেজরিবাল সরকার গোটা ঘটনায় অত্যন্ত হতাশাজনক ভূমিকা নিয়েছে কেবলমাত্র ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে।