প্রেমের টানে উলটপুরাণ! হিন্দুধর্ম গ্রহণ করে প্রেমিকাকে বিয়ে করলেন মুসলিম প্রেমিক

0
1287

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- ইতিমধ্যেই লাভ জিহাদীদের রুখতে কড়া আইন প্রণয়ন করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। একই রাস্তায় হাঁটতে চলেছে মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক, অসম, হরিয়ানা সহ একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্য। তর্কবিতর্কের এই টালমাটাল অবস্থায় এবার উল্টোপুরাণ দেখা গেল হরিয়ানায়। ভালোবাসার টানে পচ্ছন্দের সঙ্গিনীকে বিয়ে করতে মুসলিম থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে হিন্দু হয়ে গেলেন এক যুবক।

বর্তমান পরিস্থিতিতে ধর্ম পরিবর্তন করে বিবাহ করতে গেলে আগে থেকে নোটিশ দিয়ে জানানোর কথা বলছে বেশিরভাগ রাজ্যই। পাশাপাশি নতুন আইনের আওতায় জোর করে ধর্মান্তরকরণ রুখে নারী ক্ষমতায়নে জোর দেওয়া হবে। কমবেশি প্রতিটি ঘটনাতেই অভিযোগ ছিল, হিন্দু মেয়েদের টার্গেট করে ফুঁসলিয়ে নিয়ে জোর করে ধর্মান্তরিত করত মুসলিম যুবেকরা। তারপর তাদের জোরপূর্বক বিয়ে করতে বাধ্য করা হত। যদিও বিজেপি নেতাদের এই দাবির বিরুদ্ধে তুলোধোনা করতে দেখা গিয়েছিল বিরোধীদের।

এমতাবস্থায় লাভ জিহাদ নিয়ে দেশজোড়া তর্কবিতর্কের মাঝেই ধর্মের বেড়াজালকে অগ্রাহ্য করে নতুন নজির গড়েছে হরিয়ানার ২১ বছরের যুবক। গত ৯ নভেম্বর সনাতনী রীতি-নীতি মেনে তার ১৯ বছরের প্রেমিকাকে বিয়ে করেছে বলে, সূত্রের খবর। যা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই তুমুল শোরগোল বেঁধেছে সমাজের বিভিন্ন মহলে। তবে জানা গিয়েছে, ধর্ম পরিবর্তন ও বিধর্মী বিয়েকে কেন্দ্র করে আপত্তি তুলেছে বর-কনে দুজনের পরিবারের সদস্যরাই।

এদিকে ছেলেটি অভিযোগ তুলেছে তাকে প্রাণ সংশয়ের হুমকি দিয়েছে মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা। তারপরই সে আদালতের শরণাপন্ন হয়। বিয়ের আগে নিজের নাম‌ও পরিবর্তন করে ফেলে ওই যুবক। কিন্তু তারপরেও মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা রাজি ছিল না। বর্তমানে নিরাপত্তার জনিত কারণে তারা হরিয়ানা পুলিশের তত্ত্বাবধানে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

মঙ্গলবার উক্ত ঘটনা সকলের নজরে নিয়ে আসেন যমুনা নগরের পুলিশ সুপার কমলদীপ গোয়াল।পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের নির্দেশের পরপরই তাদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি। এদিকে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের মতো হরিয়ানাও খুব তাড়াতাড়ি লাভ জিহাদ বিরোধী আইন প্রণয়নের পথে হাঁটতে চলেছে বলে জানিয়েছেন হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল বিজ। তার মাঝেই এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে।

অন্যদিকে মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেছে পুলিশ। আইনি পথে দুজন প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে মেয়ে বিয়ে করেছে তাই তাদের বিয়েতে কোনও বাধা থাকতে পারেনা সেই কথাও বোঝানো হয়েছে পরিবারের সদস্যদের। কিন্তু তাতেও পরিবারের সদস্যরা বিশেষ খুশি হয়নি।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সমাজ চিন্তকগণদের কিছুজন বলেছেন, যদি আমাদের রাজ্যের মেয়েদের‌ও উৎসাহ দেওয়া হয়, আইনি নিরাপত্তা দেওয়া হয় এবং তাদের পাশে অভিভাবক হিসেবে দাঁড়ানো হয় তাহলে অনেক মুসলিম প্রেমিক-যুবক হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করে বিয়ে করে নবজীবন শুভারম্ভ করতে পারে।