আকাশগঙ্গার ব্ল্যাকহোলের ছবি প্রকাশের কৃতিত্বের অংশীদার বাঙ্গালী বিজ্ঞানী কৌশিক চট্টোপাধ্যায়

বঙ্গদেশ ডেস্ক:আকাশগঙ্গা ছায়াপথের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত স্যাজিট্যারিয়াস এ ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণ গহ্বরের ছবি প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় সাড়ে ছ’টায় ওয়াশিংটন ডিসি’র ন্যাশনাল প্রেস ক্লাব থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজ্ঞানীরা তা প্রকাশ করেছেন। পৃথিবী থেকে সেটি ২৬ হাজার আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে। সূর্যের ভরের প্রায় ৪০ লক্ষ গুণ বেশি এই ব্ল্যাকহোলটির চারপাশে ঘিরে রয়েছে একটি জ্যোতির্বলয়। এটি আয়তনে বুধের কক্ষপথের প্রায় সমকক্ষ। তা থেকেই এর ব্যাপকতা আন্দাজ করা গিয়েছে। এই মহাজাগতিক রহস্য উদঘাটনে যুক্ত রয়েছে দমদম নাগেরবাজারের বাসিন্দা বাঙ্গালী বিজ্ঞানী কৌশিক চট্টোপাধ্যায়।

২০১৯ সালে মেসিয়ার ৮৭ বা এম ৮৭ (যার ভর সূর্যের সাড়ে ছ’শো কোটি গুণ) নামে যে ব্ল্যাকহোলটির ছবি বিজ্ঞানীরা প্রকাশ করেছেন, তার চেয়ে স্যাজিট্যারিয়াস এ-র ভর বহুগুণ কম। তবে, স্যাজিট্যারিয়াস কিন্তু একেবারে নিজস্ব ছায়াপথের ব্ল্যাকহোল। এর দূরত্বও ১০০০ গুণ কম। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, তুলনামূলকভাবে কাছে হলেও তার থেকে পৃথিবী বা সৌরজগতের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা প্রায় নেই। এই প্রকল্পটি আমেরিকার ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের অর্থানুকূল্যে ইভেন্ট হরাইজন টিম (ইএইচটি) নামে বিজ্ঞানীদের একটি দল শেষ করেছেন। সেই দলেরই সদস্য কৌশিক চট্টোপাধ্যায়। ব্ল্যাকহোল নিয়ে বাংলায় একটি সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা করার সুযোগও পেয়েছেন তিনি। এই গবেষণায় যুক্ত থেকে তিনি বিশ্বের দরবারে বাঙ্গালীর মুখ উজ্জ্বল করেছেন

এই ব্ল্যাকহোলের ছবি তুলতে ‘ভিএলবিআই’ ব্যবহার করা হয়েছে। মহাকাশে অবস্থিত আটটি অ্যান্টেনা একটি গ্রহের মাপের ভার্চুয়াল টেলিস্কোপ তৈরি করে। সেখান থেকে আসা উচ্চমানের ডেটা বা তথ্য বিশ্লেষণ করে এই ছবি পাওয়া গিয়েছে। তার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে পরমাণু ঘড়ি, স্মার্ট অ্যালগোরিদম এবং দীর্ঘ সময়ের জটিল সুপার কম্পিউটিং। এমনিতে ব্ল্যাকহোলের সেভাবে কোনও ছবি পাওয়া যায় না। কারণ, সেখান থেকে কোনও আলো বিকিরণ হয় না। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে একটি হলেও ছবি পাওয়া গিয়েছে।