কেরালার কমিউস্ট সরকারের স্মাগলার যোগ? কাঠগড়ায় কমরেড বিজয়ন

0
1343

বঙ্গদেশ ডেস্ক:-এক চমকপ্রদ ঘটমার মোড়ে কেরালার কূটনৈতিক কভারেরে আড়ালে স্বর্ণ চোরাচালানের মামলার প্রধান অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর (ইডি)-কে এক বিবৃতিতে বলেছিলেন যে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (সিএম) পিনারাই বিজয়ন সংযুক্ত আরবের কনসাল জেনারেলের সাথে একাধিক বৈঠকে আলাপচারিতা করেছিলেন ২০১৭ সালে (সংযুক্ত আরব আমিরাত), রিপোর্ট করেছে টাইমস অফ ইন্ডিয়া।

সুরেশ তদন্তকারী কর্তৃপক্ষকে আরো বলেছে যে, বিজয়ন তাঁর “বর্তমানে রহিত করা (suspended) প্রধান সচিব এম. শিবাসংকরকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কনস্যুলেটের কাছে রাজ্য সরকারের কনস্যাল জেনারেলের পদের জন্য ‘আনফিসিয়ালি’ সুপারিশ করেছিলেন।”
যা শোনা যাচ্ছে, সুরেশের স্বীকারোক্তি অনুসারে, তিরুবনন্তপুরমের সিএম বিজয়ের সরকারী বাসভবনে বৈঠকগুলি হয়েছিল।

এটা বাস্তব যে সেই যুগও নেই, সেই সরকারও নেই, তাই কমিউনিস্টদের সেই দোর্দণ্ডপ্রতাপও নেই। নেই অর্থর যোগানও। বাড়িতে থান পাঠানো লাল পার্টির নেতারাই এখন কমিউনিটি কিচেন চালাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গার পার্টি অফিসগুলি এখন বিয়েবাড়ি হিসেবে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। আবার সমস্ত রীতি রেওয়াজ মেনে বিয়ের অনুষ্ঠানে চেয়ার ভাড়া দেওয়াটা কতোটা নাস্তিক দলের কমরেডদের জন্যে যুক্তিযুক্ত সেটা নিয়ে পলিটব্যুরোয় আলোচনা না করেই, চেয়ার মাইকও ভাড়ায় তোলার খবর আসছে জঙ্গলমোহল, বর্ধমানের থেকে।

এদিকে, সিএম বিজয়নের অফিস থেকে এই দাবী অস্বীকার করা হয়েছে এবং এগুলিকে মনগড়া বলে দাবী করেছে। স্বরাজ্যর করা রিপোর্ট ও কেরল সরকারের বিবৃতি অনুযায়ী, তারা উক্ত বিবৃতিটিকে রাজ্যের সিএম বিজয়ন সরকারের বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিত অপপ্রচার বলে জানিয়েছে। এটিও লক্ষ করা উচিত যে সিএম বিজয়ন ধারাবাহিকভাবে সুরেশকে চেনার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

এদিকে, সুরেশের সাথে তাঁর যোগসূত্র নিয়ে সিএম বিজয়ানের প্রাক্তন প্রধান সম্পাদক শিবসঙ্করকে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ), শুল্ক বিভাগ এবং ইডি বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তিরুবনন্তপুরমের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন স্পেসপার্কে সুরেশকে চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।