আল্লাহকে খুশি করতে নিজের সন্তানের কুরবানী মাদ্রাসা শিক্ষিকার!

0
727

বঙ্গদেশ ডেস্ক: আল্লাহতায়ালা খুশি হবেন। শুধুমাত্র এই অন্ধবিশ্বাসের কারণেই নিজের ছ’বছরের সন্তানের গলা কেটে খুন করল ৩০ বছর বয়সি এক মাদ্রাসা শিক্ষিকা। তারপর আবার নিজেই এমার্জেন্সি নম্বর ১১২’তে ফোন করে সমস্তটা পুলিশকে জানান। নির্মম এই ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার। ঘটনাস্থল কেরলের পালাক্কড়ে ।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মহিলার নাম শাহিদা, তিনি পেশায় মাদ্রাসার শিক্ষিকা। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বহুদিন আগে সুলেমান নামে এক মুসলিম যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল শাহিদার। তিন সন্তানও রয়েছে তাদের। শাহিদা চতুর্থবারের জন্য গর্ভবতী হন। তার স্বামী আগে উপসাগরীয় এলাকায় কাজ করলেও বর্তমানে অটো চালান। ঘটনার দিনও তিনি বাড়িতেই ছিলেন। কিন্তু কিছুই টের পাননি।

পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার ভোর ৩ থেকে ৪টে নাগাদ হাড়হিম করা এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে শাহিদা। সেসময় তার স্বামী দুই সন্তানসহ ঘরে ঘুমোচ্ছিল। আর ছ’বছরের যে ছেলেটিকে খুন করা হয়, সে শুয়েছিল শাহিদার সঙ্গে। প্রথমে অভিযুক্ত শাহিদা বাচ্চাটিকে ঘুম থেকে তুলে বাথরুমে নিয়ে যায়। তারপর হাত পা বেঁধে গলার নলি কেটে তাকে নৃশংসভাবে খুন করে।

এরপর শাহিদা নিজেই পুলিশকে ফোন করে সমস্ত ঘটনা জানায়। খবর পেয়েই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশ আধিকারিকরা। গিয়ে দেখতে পান বাথরুমে পড়ে রয়েছে ওই শিশুটির নিথর মৃতদেহ। শাহিদার দাবি, আল্লাহকে খুশি করতেই এই কাজ করেছে। যা শুনে হতবাক হয়েছেন আধিকারিকরাও। তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এই ঘটনা সামনে আসার পর অনেকেই রীতিমতো অনেকেই অবাক। কীভাবে মা ও শিক্ষিকা হয়েও নিজের সন্তানের সঙ্গে এমন নৃশংস কাজটি করলেন ওই মহিলা? সেই প্রশ্নও উঠেছে স্থানীয় মানুষদের মনে।