উন্নয়নের জোয়ার? মোমের আলোতে হচ্ছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসা

0
670

বঙ্গদেশ ডেস্ক : মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুর ২ নং ব্লকের ভালুকা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে খারাপ হয়ে গেছে ইনভার্টার।তাই রাত্রিবেলা লাইন চলে গেলে মোমের আলোতে বা মোবাইলের ফ্ল্যাশে করতে হচ্ছে রোগীদের চিকিৎসা।ফলে চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে সকলকেই।প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে।

এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে মোট দশটি বেড আছে।তার মধ্যে রয়েছে জরুরী বিভাগ।সারাদিন চিকিৎসার পরিষেবা ঠিকঠাক পাওয়া গেলেও রাতে লোডশেডিং হয়ে গেলেই চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে রোগীদের।সাথে হাসপাতালের ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীরাও রোগীদের চিকিৎসা করতে অসুবিধার মুখে পড়ছেন।লাইন চলে গেলে কখনও মোবাইলের ফ্ল্যাশ জ্বালিয়ে আবার কখনো মোমবাতির আলোতে হচ্ছে চিকিৎসা।অন্ধকারে হাসপাতালে এদিকে, ওদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে কুকুর, বিড়াল।ফলে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মধ্যে তৈরি হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ।স্থানীয়দের দাবি একটি জেনারেটর বসিয়ে দিলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

হাসপাতালে জিডিএ দায়িত্ব প্রাপ্ত এক কর্মী রবীন্দ্রনাথ রায় বলেন ” প্রায় ই বিদ্যুৎ চলে যায় এবং আসে না দীর্ঘক্ষণ। সেই সময় মোমবাতি জ্বালিয়ে রোগীদের পরিষেবা দিতে হয় যা খুব ই সমস্যাজনক। কোনো ইনভার্টার বা জেনারেটর নেই । প্রায় ১০ টি সজ্জা আছে যার মধ্যে আছে জরুরি বিভাগও।এরকম অবস্থায় বিদ্যুৎ না থাকলে খুব অসুবিধায় পড়তে হয়।”

এক রোগী বলছেন ” প্রায় রোজই বিদ্যুৎ চলে যায় এবং তখন মোবাইলে আলো জ্বেলে কাজ চালাতে হয়। গরমে অন্ধকারে খুব সমস্যা হয়। প্রশাসনকে অনুরোধ করবো বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। ”

এই প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের বি এম ও এইচ সাগর বসাক জানান,” ওই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ইনভার্টার এ ছোটখাটো সমস্যা হয়েছে। যেটা আমরা খুব তাড়াতাড়ি সাড়িয়ে তুলব।এছাড়া বিদ্যুৎ জনিত আর কোন সমস্যা থাকলে সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।”

যেকোনো সরকারের সব থেকে প্রথমে উচিত স্বাস্থ্য পরিষেবার উপর নজর দেওয়া।কারণ স্বাস্থ্য পরিষেবা তে কোন ঘাটতি হলে মানুষকে তার চুড়ান্ত ভোগান্তি ভুগতে হয়।একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ইনভার্টার খারাপ হয়ে গেলে কেন তা সাথে সাথে ঠিক করা হবে না এই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।এইভাবে মোমবাতির আলোতে বা মোবাইলের আলোতে রোগীদের চিকিৎসা করা যথেষ্ট বিপদজনক।এক্ষেত্রে প্রশাসনের উচিত দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা।