ভোটে খারাপ ফলের আশংকায় বিজেপি নেতার কাছে সাহায্য চেয়ে ফোন মমতার  

0
750

বঙ্গদেশ ডেস্ক:সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। তমলুক জেলা বিজেপির সহ সভাপতি প্রলয় পালের বক্তব্য তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে ফোনকল করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপটি প্রলয় পালের সেই কথোপকথনের অডিও রেকর্ড। প্রলয় পাল রেয়াপাড়া বুথের জনপ্রিয় বিজেপি কর্মী হিসেবে সুপরিচিত। 

প্রলয় পালের বক্তব্য অনুযায়ী তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনে সাহায্য করার জন্যে প্রলয় পালকে ফোন করেছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই অডিও ক্লিপে শোনা যায় প্রলয় পালকে বলা হচ্ছে, ” তুমিতো অনেক ইয়াং ছেলে, অনেক কাজ করো আমি জানি সবকিছু। এবার একটু আমাদের সাহায্য করে দাও না, তুমি দেখবে কোন অসুবিধা হবে না। ” উত্তরে প্রলয় পাল বলেন, ” কিন্তু দিদি দেখুন, আপনাকে দেখেই কিন্তু আমার পরিবার রাজনীতি করেছিল। যেদিন ভোটের রেজাল্ট বের হয়, আমরা বুঝতে পারি যে আপনি মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন, সেদিন পাঁচ জন ব্রাহ্মণ ডেকে হোমযজ্ঞ করে আমি মিটিং মিছিল করেছিলাম। কিন্তু এতো ত্যাগ করার পরেও যখন প্রলয় পাল রেসিডেন্স সার্টিফিকেট পায় না, এর থেকে লজ্জার আর কিছুই থাকতে পারে না।” 

প্রলয় পালের কথার উত্তরে অপর প্রান্ত থেকে বলতে শোনা যায়, ” এটা কে করেছিল তুমি জানো? তোমাদের লোকাল যে লিডার ছিল, সে আমাকে নন্দীগ্রামে যেতে দিতো না, সারা নন্দীগ্রামে- মেদিনীপুরে তাদের একটা জমিদারি চলতো। ” প্রলয় পাল কথার অপ্রাসঙ্গিকতা কাটিয়ে আবারও বলে, ” আমি দিদি রেসিডেন্স সার্টিফিকেট পাবো না এটা হতে পারে?” প্রলয় পালের কথার জবাবে খানিকটা উত্তেজিত স্বরে অপর প্রান্ত থেকে বলতে শোনা যায়, ” আরে তো আমি আছি কি করতে? যে করেছে সে অন্যায় করেছে। ” প্রলয় পাল পাল্টা বলেন, ” আমিতো মার খেয়েছি, আপনার মহাদেবের হাতে আমি মার খেয়েছি। ” প্রলয় পালকে উত্তরে বলা হয়, ” আমি জানি, আমি সবই জানি, আমি পরে শুনেছি। আমিতো আগে এতো ডিটেলে খবর নিতাম না। ” প্রলয় পাল স্পষ্ট করে বলেন, ” দিদি আপনি যা ই বলুন না কেন, আমি যে দলটায় আছি, তার সাথে আমি কোনভাবেই বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারবো না।” 

এরপর কথোপকথনের এক পর্যায়ে শুভেন্দু অধিকারীর পরিবারের দিকে ইঙ্গিত করে বিভিন্ন কথা বলা হলে প্রলয় পাল বলেন যে, ” যখন সিপিএম এর কাছে অত্যাচারিত হতাম ওই পরিবার (শুভেন্দু অধিকারী পরিবার) পাশে ছিল। সেই জায়গা থেকে এই পরিবারকে আমি সমর্থন করি। শিশির বাবুর সাথে বাবার দীর্ঘ ৪০ বছরের সম্পর্ক। যখন আমরা অত্যাচারিত হতাম, ওই পরিবারটাই সাহায্য করতো, আর কেউ ছিল না।” যদিও ইতিপূর্বেই শিশির অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন যে ভোটে পরাজয় নিশ্চিত দেখতে পেয়ে অনেক বিজেপি নেতাকে ফোন করে নন্দীগ্রামে জয়ের জন্য সাহায্য চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অডিও ক্লিপটি ভাইরাল হতেই নেটিজেন ও রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর চর্চা ও হাস্যরস। নেটিজেনদের মন্তব্য, ভোটের ফলাফল আগে থেকেই টের পেয়ে গেছেন তিনি, তাই বিজেপি নেতাদেরকে ফোনকল করে যাচ্ছেন, কিন্তু তাতে লাভ হবে না।