মালদহের মানুষের কাছে ভোটের জন্য আকুতি, আমরা কি একটাও সিট পাবো না?- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 

0
532

বঙ্গদেশ ডেস্ক: মালদহের জনগণ কোনদিনই তৃণমূলকে সমর্থন করেনি। মালদহ প্রাক্তন রেলমন্ত্রী গণিখানের গড়। অসংখ্যবার চেষ্টা করার পরেও তৃণমূল সেখানে চূড়ান্ত ব্যর্থ। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সাথে জোট করেছিল। সেজন্যে তৃণমূলের কপালে একটি সিট জুটেছিল কোনরকমে। এরপর আর হয়নি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছিল ঘাসফুল শিবির। সবকটি আসন জিতেছিল বিরোধীরা। ফলে মালদহ নিয়ে স্বভাবতই ব্যপক হতাশ তৃণমূল। 

সেই হতাশা ধরা পড়লো খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে। তৃণমূলের একটি দলীয় জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মালদহের মানুষের কাছে ভোটের জন্য রীতিমতো আকুতি জানালেন তিনি। মঞ্চে উঠে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ” ৩০ বছর ধরে মালদহে এসেও আমরা কিছুই পাইনি৷ ভোটের সময়ে এসে আমরা কিছুই পাই না। আমরা কি এটাও সিট পাবো না? মালদহ কি আমাদেরকে আবার খালি হাতে ফেরাবে?” 

সিপিএম-কংগ্রেসকে ভোট না দেওয়ার অনুরোধ করে তিনি আরও বলেন, ” সিপিএম-কংগ্রেস শুধু ভোট কাটে। ওদেরকে ভোট দেবেন না। তৃণমূলকে দিন। উনিশের লোকসভাতেও একটি সিট পেয়েছে কংগ্রেস, অন্যটি বিজেপি। সিপিএম-কংগ্রেস বিজেপির হয়ে কাজ করছে। মৌসম নূরকে আমি প্রার্থী করেছিলাম। ওর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে ওকে হারিয়ে দিয়েছে। আমাদেরকে এবার শূন্য হাতে ফেরাবেন না। ”

মালদহে দেওয়া মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের মাঝেই ভেসে ওঠে যে তৃণমূল মাঠ পর্যায় নিয়ে কতোটা শঙ্কিত ও আতঙ্কিত! তাই এবার জনসভাগুলোতে ভোটের জন্য একপ্রকার আকুতি করে যাচ্ছে তৃণমূল। তবে তাতে আদৌ চিড়ে ভিজবে কি না তা নিয়ে সন্দীহান রাজ্যের নেটিজেনরা। প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন স্থানে তৃণমূলের বিবিধ দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে। নেটিজেনদের মন্তব্য এই যে, গত দশ বছরে সততার সাথে তোষণ ছাড়া কাজ করলে আজ এরকম আকুতি করতে হতো না, আকুতি জানানোর সময় পেরিয়ে গিয়েছে।