মতুয়াদের উপর হামলায় বারাসাতের কাজীপাড়া থেকে গ্রেফতার চার যুবক

0
434

বঙ্গদেশ ডেস্ক:হাবড়া স্টেশনে গতকাল রেল অবরোধ করে মতুয়ারা। ঠাকুরনগরে আসার পথে হামলার শিকার হয় তারা। অভিযোগ উঠেছে, বাস থামিয়ে তীর্থযাত্রীদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। এর ফলে দু’জন গুরুতর জখম হয়েছে। এই ঘটনার জেরে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সমগ্র মতুয়া সমাজ।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে উপযুক্ত পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ‘মতুয়ারা বুঝে নেবে’ বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সভাধিপতি শান্তনু ঠাকুর। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার সকালে হাবড়া স্টেশনে অবরোধ করে মতুয়ারা। ফলত, শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার যান চলাচল ব্যহত হয়। আপ লাইনে একটি ট্রেন আটকে প্রতিবাদ করে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের তরফে আশ্বাস পেয়ে অবশ্য অবরোধ তুলেও নেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২৯ মার্চ রাতে বারাসত কাজিপাড়া এলাকায় গড়িয়া নরেন্দ্রপুর থেকে ঠাকুরনগরগামী মতুয়া তীর্থ যাত্রীদের বাসে হামলা করে একদল মুসলিম যুবক। জখম হয় ওই বাসের যাত্রী সুমন হালদার ও দলপতি বিধান হালদার, সুমনের শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক।

ইতিমধ্যেই তদন্তে শুরু করেছে বারাসত থানার পুলিশ। সুমন হালদারের ভাইঝি এই ঘটনার বিবরণ দিয়ে জানিয়েছেন, এই বছরও তারা ঠাকুরনগরে মতুয়া মেলায় যোগ দিতে যাচ্ছিল। ২৯ মার্চ রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গড়িয়া নরেন্দ্রপুর থেকে বাসে ঠাকুরনগরের জন্য পাড়ি দেয় তারা। রাত দেড়টা নাগাদ বারাসতের কাজিপাড়া এলাকায় কিছু মুসলিম যুবক রাস্তার পাশে গাছের একটি গুঁড়ি দিয়ে বাস আটকে দেয়। শুধু তাই নয়, বাসে থাকা মহিলাদের উদ্দেশ্যে অশ্লীল মন্তব্য করে এবং বাইরে থেকে বাসে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে বলেও অভিযোগ।

ওই তরুণী আরও অভিযোগ করেছে, একদল মুসলিম যুবক বাসের মহিলাদের নিয়ে গালিগালাজ করে। তারপরেও বাস থেকে কেউ না নামায় ওরা ইঁট ছোঁড়ে। কম-বেশি সকলেই আহত হয়েছে। দলপতি নেমে প্রতিবাদ করলে তার জামা-কাপড় ছিঁড়ে, মোবাইল কেড়ে, টাকা নিয়ে মারধর করা হয়। আমার কাকাকে দূরে টেনে নিয়ে গিয়ে সাত-আট জন মিলে ভীষণ মারধর করে। ইঁট দিয়ে মাথা থেঁতলে দিয়ে রাস্তার পাশে জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়।

হামলাকারীদের এখন‌ও চিহ্নিত করা যায়নি। সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে, আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বারাসাত থানার পুলিশ। এই ঘটনায় বারাসত থানার পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের প্রত্যেকের বাড়ি বারাসতের কাজীপাড়ায়।