ভারতীয় পড়ুয়াদের উদ্ধারে ইউক্রেন পাড়ি বাঙ্গালী পাইলট জয়দীপ ও মহাশ্বেতার

0
410

বঙ্গদেশ ডেস্ক:রাশিয়ার (Russia) হামলায় যখন জ্বলছে ইউক্রেন (Ukraine)। তখন ভারতীয় পড়ুয়াদের (Indian students) উদ্ধারই ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আর সেই কঠিন লড়াইয়ে সরকারের ‘অপারেশন গঙ্গা’য় (Operation Ganga) প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছেন দুই বাঙ্গালী মহাশ্বেতা চক্রবর্তী (Mahasweta Chakraborty) ও জয়দীপ ব্যানার্জী (Joideep Banerjee)। বাঙ্গালী পাইলট ক্যাপ্টেন জয়দীপ ব্যানার্জী ইউক্রেনে উদ্ধার অভিযানে নিজের কৃতিত্বের নজির তৈরি করেছেন।

মহাশ্বেতা চক্রবর্তী বলছেন, দু’ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়,
বলা হয় একটা মিশনে যেতে হবে। বাড়িতে না জানিয়েই অন্য রকম একটা জায়গা, অন্যরা যেখানে ফিরছে, আমি সেখানে যাচ্ছি। ডিউটি যা সে তো করতেই হবে। এটা আমার কাছে লার্নিং এক্সপেরিয়েন্স, টিম চ্যালেঞ্জ ছিল।৫ মার্চ রাতে রওনা দিয়ে, ৬ মার্চ দিল্লিতে পৌঁছান মহাশ্বেতা। ‘অপারেশন গঙ্গা’য় অংশ নেওয়া, তাঁর জীবনকে দেখার ভঙ্গীই বদলে দিয়েছে বলে দাবি তাঁর।

জয়দীপ ব্যানার্জী একটি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার নিয়ে দিল্লি থেকে কিয়েভ যাচ্ছিলেন। এটি কেন্দ্রীয় সরকার মোতাবেক সমস্যাগ্রস্ত অঞ্চল থেকে ভারতীয়দের সরিয়ে নেওয়ার জন্য দ্বিতীয় ফ্লাইট ছিল যা অপারেশন গঙ্গার অংশ হিসাবে মোতায়েন করা হয়েছিল। ক্যাপ্টেন তার ইউনিওয়ার্ল্ড সিটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে টেলিগ্রাফ সল্ট লেককে বলেছেন, “যুদ্ধ তখনও শুরু হয়নি কিন্তু শত্রুতা আসন্ন ছিল। আগের দিন, আমাদের প্রথম ফ্লাইট কিয়েভ থেকে ২৪০ জন ছাত্রকে সরিয়ে নেওয়া নিয়ে‌ছিল। আমার ফ্লাইটে ২৫৭ জন ধরতো, ওটাই আমার ফ্লাইটের ক্ষমতা ছিল।”

কেবিন ক্রু ছাড়া বোর্ডে নয়জন যাত্রী ছিলেন—দুই সাংবাদিক, তিনজন দূতাবাসের কর্মকর্তা এবং পাঁচজন ছাত্র। তিনি ছাত্রদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন কেন তারা এত অনিশ্চয়তার মধ্যে ইউক্রেনে যাচ্ছে। তারা বলেছিল, যে তারা সবেমাত্র ভর্তি হয়েছে এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ কিছু কাগজপত্রের জন্য তাদের ডেকেছে। তারা জানিয়েছিল, ‘আমরা পরবর্তী ফ্লাইটে ফিরে যাব।’