“কাশ্মীরের পতাকা না ফেরালে তেরঙ্গাকে সম্মান নয়” , বিস্ফোরক মেহেবুবা মুফতি!

0
515

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- টানা ১৪ মাস গৃহবন্দী থাকার পর ১৩ই অক্টোবর ছাড়া পান পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি।। এরপরই ওমর আব্দুল্লাহর সঙ্গে দেখা করে ফের কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফেরানোর দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন তিনি এবং শুক্রবার আরও একধাপ এগিয়ে কাশ্মীরের পতাকা ফেরানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি। তাঁর এই উক্তিকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার নামান্তর বলে সরব হয়েছেন বিজেপির একাংশ।

শুক্রবার মুফতি বলেছেলন, “বিজেপি যেভাবে গতবছর জম্বু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দিয়েছ উপত্যকার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে সেটা আমাদের মানুষের সাথে ডাকাতির নামান্তর। দেশ সংবিধানের ভিত্তিতে চলবে। কখনো বিজেপির ইশতেহার ভিত্তিক চলতে পারে না। আগে কাশ্মীরের পতাকা ফেরানো হোক তারপর তেরঙ্গাকে সম্মানের কথা ভেবে দেখব।”

মেহেবুবার এহেন উক্তির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি। জম্মু-কাশ্মীরের বিজেপির সভাপতি রবীন্দর রায়না এবিষয়ে বলেছেন,”আমি লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। মেহবুবা মুফতি দেশদ্রোহী মন্তব্য করেছেন তাই তার বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। ওনাকে শীঘ্র জেলে ঢোকানো উচিত। জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।”

জম্মু কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সময় থেকে প্রায় চৌদ্দ মাস ধরে পাবলিক সেফটি অ্যাক্টের আওতায় আটকে রাখা হয়েছিল মেহবুবা মুফতিকে। সম্প্রীতি মুফতির মেয়ে ইলতিজা মুফতি সুপ্রিমকোর্টে পিটিশন জমা দিয়েছিলেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল মুফতিকে বেআইনিভাবে আটকে রাখা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ শে সেপ্টেম্বর সুপ্রিমকোর্ট জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের কাছে জানতে চেয়েছিল আর কতদিন মেহেবুবা মুফতিকে আটকে রাখা হবে। উত্তর দেয়ার জন্য জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনকে দু সপ্তাহ সময় ধার্য করা হয়েছিল। এরপরে ১৩ ই অক্টোবর মুক্তি পান মেহবুবা মুফতি।

মুক্তি পাওয়ার পর নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে একটি অডিওবার্তায় জম্বু কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফেরানো ও কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে স্থায়ী সমাধানের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। তিনি বলেছিলেন ৫ ই আগস্ট অবৈধ,অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক পদ্ধতিতে কাশ্মীর উপত্যকার সঙ্গে যা হয়েছিল তা ফিরে পাওয়ার জন্য আমাদের সবাইকে একত্রে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তকে ‘দিনের আলোয় ডাকাতি করার সমান’ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।