স্বাধীনতা দিবসে চিন-পাকিস্তানকে কড়া বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

0
577

বঙ্গদেশ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে দুই প্রতিবেশী দেশের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা ছুঁড়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ তবে শুক্রবার ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবসের ওই অনুষ্ঠানে তিনি কোনও দেশের নাম করেননি৷

তবে যা বলেছেন, তাতে স্পষ্ট যে তিনি আঙুল তুলেছেন চিন ও পাকিস্তানের দিকেই৷ চিন গত মে মাসের শুরু থেকে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গোলমালের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে৷ অন্যদিকে জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সারা বছরই পাকিস্তান ভারতকে আক্রমণ করে৷

আর দুই ক্ষেত্রেই ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রতিবেশীদের কড়া জবাব দেয় বারবার৷ এদিন নিজের বক্তৃতায় সেই কথাই তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী৷ বলেছেন, ‘‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা হোক বা নিয়ন্ত্রণ রেখা, যারাই সেখানে চ্যালেঞ্জ করতে আসে, ভারতীয় সেনা তাদের যোগ্য জবাব দেয়৷’’

চলতি বছরের মে মাসের শুরুতে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিন যে গোলমাল শুরু করেছিল৷ তার জেরে জুন মাসের শুরুতে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে এক রাতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়৷ তাতে ভারতীয় সেনার ২০ জন জওয়ান শহিদ হন৷

চিন অবশ্য নিজেদের সেনাবাহিনী কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছুই জানায়নি৷ কিন্তু তার পরই ক্রমশ চিনা সেনা পিছু হঠতে থাকে৷ এদিন সেই কথাই উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর মুখে৷ তিনি বলেছেন, ‘‘ভারতীয় সেনা জওয়ানরা কী করতে পারে, দেশ কী করতে পারে, তা লাদাখের ঘটনার পর গোটা বিশ্ব জেনে গিয়েছে৷’’

প্রসঙ্গত, চিনের এই ব্যবহারের পর থেকে ভারত সেই দেশের বিরুদ্ধে ক্রমশ কড়া হতে শুরু করেছে৷ চিনের বহু অ্যাপ ভারতে নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছে৷ একাধিক চিনা সংস্থা ভারতে পাওয়া বহু প্রকল্প থেকে বাতিল হয়ে গিয়েছে৷ ভারতের বাজারেও চিনের সামগ্রী বিক্রিতে টান পড়েছে৷

ফলে এদিন মোদী নিজের বক্তব্যের মাধ্যমে সেটাও বোঝাতে হয়েছেন৷ কারণ, ভারতের পদক্ষেপের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সের মতো দেশে চিনা অ্যাপ নিয়ে আপত্তি তুলতে শুরু করেছে৷ চিনের বিরুদ্ধে এখন বিশ্বের অনেক দেশই এক হতে চাইছে৷

সেই কথা মাথায় রেখে গোটা বিশ্বকে ভারতের পাশে টানার চেষ্টা করেছেন মোদী৷ বলেছেন, ‘‘শুধু সীমান্ত থাকলেই কোনও দেশ প্রতিবেশী হয় না৷ মনের মিল থাকলেও প্রতিবেশী হওয়া যায়৷’’