ছেলের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ! ইসলামপুর ‘মব লিঞ্চিং”-এ মৃত পুলিশ অফিসারের বৃদ্ধা মা প্রয়াত!

0
795

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- ইসলামপুরের পাঞ্জিপাড়ায় গণপিটুনির কারণে মৃত বিহারের কিষাণগঞ্জের পুলিশ আধিকারিক ইনস্পেক্টর অশ্বিনী কুমারের মা ঊর্মিলা দেবী (৭০) ছেলের শোকে প্রয়াত হয়েছেন। রবিবার সকালে যখন তিনি নিজের ছেলের মৃতের খবর পাওয়া মাত্র হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। জানা গিয়েছে, ঊর্মিলাদেবী হার্টের রোগী ছিলেন।

পরিবারের বাকি সদস্যরা প্রথমে বৃদ্ধা মাকে অশ্বিনী কুমারের মৃত্যুর খবর দেয়নি, কিন্তু যখন তিনি এই কথা জানতে পারেন, তখন সেই আঘাত আর সহ্য করতে পারেনি। এখন এক‌ই বাড়ি থেকে মা এবং ছেলে দুজনের শেষযাত্রা একসঙ্গে বের হবে। রবিবার দুপুর ২টো নাগাদ দুজনের শেষকৃত্য একসঙ্গে সম্পন্ন করা হয়েছে। এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই পুরো গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গ্রামবাসীরা মৃত পুলিশ অফিসারের সাহস এবং বীরত্বকে স্যালুট জানাচ্ছেন।

কিষানগঞ্জ নগর থানার SHO অশ্বিনী কুমার নিজের টিমের সঙ্গে এক দুষ্কৃতীতে ধরতে ইসলামপুরের পাঞ্জিপাড়া এলাকায় পৌঁছেছিলেন। তিনি পাঞ্জিপাড়ার পুলিশ ফাঁড়িকে আগে থেকে এই বিষয়ে অবগতও করেছিলেন। কিন্তু ইসলামপুরের গ্রামে ঢোকার পর এলাকাবাসী অশ্বিনী কুমারকে গুজবের জেরে পিটিয়ে হত্যা করে।


ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে ডিজিপি এসকে সিঙ্ঘল বলেছেন, অশ্বিনী কুমার একটি লুটপাট কাণ্ডে অভিযুক্ত কুখ্যাত অপরাধী ফিরোজকে ধরার জন্য তল্লাশি চালাতে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু পাঞ্জিপাড়ার গ্রামে অপরাধী নিজেকে বাঁচানোর জন্য গুজব ছড়ায় এবং সেই গুজবের জেরে গ্রামবাসী পুলিশের উপর আক্রমণ করে। তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের পাঞ্জিপাড়ার পুলিশকে এই বিষয়ে জানিয়ে তল্লাশি অভিযানে যাওয়ার পরেও তাঁরা কোনও সহযোগিতা পাননি।

এই বিষয়ে বিহার পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় কুমার সিংহ জানিয়েছেন, বাংলায় আইন শৃঙ্খলার কোন‌ও সুব্যবস্থা নেই। তিনি অশ্বিনী কুমারের হত্যা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয়কে হস্তক্ষেপ করার জন্য শহীদের পরিবারকে বিহার সরকারের তরফ থেকে সাহায্যের জন্য আবেদন করেছেন।