পুলওয়ামায় মৃত‍্যুঞ্জয়ী সেনাদের স্মরণ করে তাঁদের বীরমাতাকে দিয়ে পুজোর উদ্বোধন

0
588

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- কোন নেতা বা মন্ত্রীর হাত ধরে নয় বা রুপালি পর্দার অভিনেতা বা অভিনেত্রীও নয়, পুজো উদ্বোধনে এ এক অন্য আয়োজন। মহিষাসুরকে বধ করে দেবকুলকে রক্ষা করেছিলেন দেবী দুর্গা আর দেশের সীমান্তে চৈনিক সেনাদের প্রতিহত করে দেশকে রক্ষা করেছিলেন ভারতীয় সেনা জওয়ানরা। আর সেই লড়াইয়ে হুতাত্মা হয়েছিলেন বীরভূমের সোনার ছেলে জওয়ান রাজেশ ওরাং। আর তাই সেই শহীদের মা মমতা ওরাংয়ের হাত ধরে রামপুরহাটের কালীসাঁড়া-আমতলা ও বুলেট ক্লাবের দুর্গা পুজো উদ্বোধন করিয়ে ক্লাবের সদস্যরা নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সকলের সামনে। শহীদ রাজেশের বোন শকুন্তলা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বীর শহীদের মা আমার কাছে দেবী দুর্গার সমান। পুজো মন্ডপে ছেলের ছবি দেখে চোখের জল বাঁধ মানেনি মায়ের। শহীদের মা ধরা গলায় শুধু বলেন, সকলের মাঝে বেঁচে রয়েছে আমার সন্তান রাজেশ।

শুধুমাত্র রামপুরহাট নয় হুতাত্মা জাওয়ানের মায়ের হাত ধরে দুর্গা মায়ের মন্ডপের দ্বার উদঘাটন করা হয়েছে হাওড়ায়। বাবলু সাঁতরা সহ দেশের বীর শহীদদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয় হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর পল্লী সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির তরফে। এদিন শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানের সম্মাননা দেওয়া হয় বীর বাবলু সাঁতরার মাকে।

২০১৯ সালের ১৪ ই ফেব্রুয়ারী জম্মু থেকে কাশ্মীর যাওয়ার পথে পুলওয়ামার অবন্তীপুরাতে জঙ্গি হামলায় ৪৯ জন জন ভারতীয় জ‌ওয়ান নিহত হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন হাওড়ার বাউরিয়া বাবলু সাঁতরা। বুধবার সন্ধ্যায় বাবলু সাঁতরা সহ দেশের বীর শহীদদের উদ্দেশ্যে বিশেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে হাওড়া রামকৃষ্ণ পল্লী সর্বজনিন দূর্গৎসব কমিটি।

বনমালী য়দেবী প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে পুজোর সূচনা করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুজো কমিটির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মোহন বসু, নয়ন বন্দ্যোপাধ্যায় আইএফএ এর সভাপতি শ্যামল মিত্র সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা। স্বাভাবিকভাবে জ‌ওয়ানের মায়ের হাত ধরে পুজো উদ্বোধনে খুশি এলাকাবাসী।