বঙ্গদেশ ডেস্ক:- আজ দ্বিতীয় দফার নির্বাচন হচ্ছে রাজ্যের চারটি জেলার ৩০টি আসনে। দ্বিতীয় দফার নির্বাচন ঘিরে প্রতিটি আসনেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে। বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে কোনোরকম জটলা করতে দেওয়া হচ্ছে না। সবরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তৎপর নির্বাচন কমিশন। আর এরই মধ্যে পোলিং এজেন্টের পোশাক নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ বিধানসভা কেন্দ্রে।
কাকদ্বীপ বাসস্ট্যান্ডের কাছে রথতলা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তির গেরুয়া বসন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পোলিং এজেন্ট। দীপঙ্কর জানা নামের ওই ব্যক্তি বিজেপির পোলিং এজেন্ট। তিনি বৈষ্ণব সম্প্রদায়ভুক্ত এবং তিনি আগাগোড়াই গেরুয়া বসন পরেন এবং কপালে তিলক কাটেন। কিন্তু দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের দিনে কাকদ্বীপে বিজেপির পোলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করা দীপঙ্করবাবুকে ওনার পোশাকের জন্য বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়েছে।
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=464329514782951&id=198230903525774&anchor_composer=false
কিন্তু জনপ্রিয় এক সংবাদ মাধ্যমের ভিডিওতে দেখা গিয়েছে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, একটি বুথে ‘গেরুয়া’ বস্ত্র পরিধান করায় একজন ব্যক্তিকে আটকে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ওই ব্যক্তির কপালে তিলক আঁকা রয়েছে। গলায় রয়েছে উত্তরীয়। স্বাভাবিক দৃষ্টিতেই বোধগম্য, তিনি একজন সাধু্। কিন্তু তাঁকে কোনোভাবেই বুথে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে প্রিসাইডিং অফিসার বলেছেন, গেরুয়া রং একটি বিশেষ পার্টির প্রতীক। তাই এই পোষাকে ওই ভদ্রলোকের বুথে প্রবেশ করা উচিত হয়নি। কিন্তু আশেপাশে সবুজ ও লাল রঙের পোশাক পরিহিত লোকজনদের দেখা গেলেও তাদের সম্পর্কে কোনোরকম মন্তব্য করেননি অফিসাররা।
প্রথমে তৃণমূল কংগ্রেসের পোলিং এজেন্টরা দীপঙ্করবাবুর গেরুয়া বসন নিয়ে অভিযোগ তোলেন। এরপর প্রিসাডিং অফিসার এবং নিরাপত্তা রক্ষীরা তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে দীপঙ্করবাবুকে গেরুয়া বসন পাল্টে আসতে বলেন। দীপঙ্করবাবু স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, তিনি এই বসন পাল্টাতে পারবেন না। কারণ তিনি গেরুয়া বসন আজকের এই বিশেষ দিনের জন্য পরেননি। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই এই পোশাক পরেন। এই পোশাকের বাইরে অন্য রঙের পোশাক পরা ওনার সম্প্রদায়ের নিয়ম নেই।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নির্বাচনী বিধিতে কোথাও উল্লেখ নেই যে পোলিং এজেন্ট, প্রিসাইডিং অফিসার এবং ভোটাররা কি পোশাক পরবেন এবং কি রঙয়ের পোশাক পরবেন না। নির্বাচনী বিধি কাউকে কোনও রঙের পোশাক পরা থেকে বিরত করে না। বুথের ভিতর হোক আর বাইরে আপনি নিজের ইচ্ছে মতো যেকোন রঙয়ের পোশাক পরতেই পারবেন। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক দলের চিহ্ন বা প্রতীকী ব্যবহার করতে পারবেন না।