ব্রিটিশ বিরোধিতা করে আজ‌ও পঠনপাঠন অব্যাহত রবিবারে, ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যালয়কে ‘জাতীয় স্কুল’ ঘোষণার আবেদন

0
407

বঙ্গদেশ ডেস্ক:ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে নাম জড়িয়ে রয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর ব্লকের গোপালপুর মুক্তকেশী উচ্চ বিদ্যালয়ের। দেশ স্বাধীন হলেও ব্রিটিশ বিরোধিতা সেখানে আজ‌ও চোখে পড়ে। এই স্কুলে এখনও ব্রিটিশদের তৈরি নিয়মকে লঙ্ঘন করে রবিবার ছুটি দেওয়া হয় না। পরিবর্তে সপ্তাহে সোমবার ছুটি থাকে এই স্কুল। দীর্ঘ বছরের এই রীতি বজায় রাখার জন্য শতবর্ষে এই স্কুলকে ‘জাতীয় স্কুল’ ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষা দপ্তর, মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক এবং রাজ্যপালের কাছে।

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় এই বিষয়টি তুলে ধরে বলেছেন, মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনের সময়কালে স্কুলটির প্রতিষ্ঠা করা হয়, ১৯২২ সালের ৫ জানুয়ারি‌। স্কুল তৈরির জন্য অবিনাশচন্দ্র হালদার ও তাঁর ভাই ভূষণচন্দ্র হালদার নিজেদের জমি দান করেছিলেন। তাঁদের ইচ্ছায় ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার জন্য এই স্কুলে রবিবার ছুটি থাকতো না, পরিবর্তে সোমবার স্কুল বন্ধ থাকে।

প্রথম দিকে, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রদর্শন করার জন্য এই স্কুলে ইংরেজি পঠনপাঠন বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিন্তু ১৯২৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর ইংরেজি পঠনপাঠন চালু করা হয়। ঐতিহ্যবাহী এই স্কুলকে ‘জাতীয় স্কুল’ হিসেবে ঘোষণা করার জন্য এলাকার বাসিন্দারা সহ প্রাক্তন পড়ুয়া, শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে আওয়াজ তুলেছেন। এই স্কুলের শিক্ষক সমীরকুমার ঘোষাল বলেছেন, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে শতবর্ষ পাড় করেছে এই বিদ্যালয়। স্কুলের ১০১ তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের পরপরই স্কুলের পরিচালন সমিতি একটি বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, এই স্কুলকে জাতীয় স্কুল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য
আবেদন জানানো হবে। সেই সিদ্ধান্ত মতো ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল সহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে জাতীয় স্কুলের স্বীকৃতির জন্য আবেদন জানিয়েছেন।