বর্ণবাদের বিরোধিতা করে এসে মেহনতী মানুষকে কালো দেখানোই বামপন্থী সংস্কৃতি – বলছে নেটিজেনরা 

0
790

বঙ্গদেশ ডেস্ক:নিজেদেরকে সর্বদা মডারেট ও শিক্ষিত বলে পরিচয় দেয় বামপন্থীরা। তাদের মতে তারা পিছিয়ে পড়া সমাজকে দিশা দেখাতে চায়। কিন্তু আসলেই কি তাই? কারণ বাস্তবে দেখা যায় অন্য এক চিত্র। সম্প্রতি একটি ফেসবুক মিমে সংযুক্ত মোর্চা মনোনীত বাম প্রার্থী মিনাক্ষী মুখার্জিকে “কাজের মাসি” বলায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয় বাম শিবির। তারা এর প্রতিবাদ জানিয়ে বলে যে মানুষকে তার চেহারা ও গায়ের রঙের কারণে কাজের মাসি হিসেবে উদ্ধৃত করে ছোট করা হচ্ছে। 

কিন্তু বাস্তবে দেখা গিয়েছে এক অন্য চিত্রের। একদিন পূর্বে সংযুক্ত মোর্চা মনোনীত বাম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তীর ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্টার পোস্ট করা হয় প্রচারের উদ্দেশ্যে। তারা ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে যাদবপুর কেন্দ্রে বাম, গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ জোট মনোনীত প্রার্থী সুজন চক্রবর্তীকে ৩ নং বোতাম টিপে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করুন।” কিন্তু বিতর্ক এখানে নয়। বিতর্ক রয়েছে পোস্টারটিতে। পোস্টারের দেখা যায় যে এক মেহনতী মানুষের হাতে হাত রেখে কথা দিচ্ছেন বাম প্রার্থী, কিন্তু সমস্যা অন্যত্র। মেহনতী মানুষটিকে দেখানো হয়েছে সম্পূর্ণ কালো বর্ণের। https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=4054722431215489&id=365129816841454

বিতর্কের মূল বিষয়টি হলো, একদিকে গায়ের রঙের কারণে মানুষকে ছোট করা হচ্ছে বলে ধোঁয়া তুলছে বাম শিবির, অন্যদিকে মেহনতী মানুষকে সর্বদা কালো বর্ণের মানুষ হিসেবে তুলে ধরে বাম শিবির যার প্রমাণ সুজন চক্রবর্তীর পেজের সেই পোস্টার। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সমালোচনা শুরু করে দিয়েছে নেটিজেনরা। তাদের বক্তব্য, চরম বর্ণবাদী মানসিকতা নিয়ে বর্ণবাদের প্রতিবাদ করা বামপন্থীদের মানায় না। নেটিজেনরা আরও বলেছেন, শ্রেণী -সম্প্রদায়-পেশা- গায়ের রঙ ইত্যাদি নিয়ে মানুষকে ছোট করার যে সংস্কৃতি তা বামপন্থীরাই সৃষ্টি করেছে যা আজও বর্তমান। নিজেরা দেখাবে মেহনতী মানুষ মাত্রেই কালো, অন্যদিকে বর্ণবাদ নিয়ে প্রতিবাদের ধোঁয়া তুলবে। অনেক নেটিজেন এমনও বলেছেন যে, হিপোক্রেসির প্রতিশব্দই হলো বামপন্থী, বর্ণবাদের বিরোধিতা করে এসে মেহনতী মানুষকে কালো দেখানোই বামপন্থী সংস্কৃতি।