কেরালার সরকারি আধিকারিকদের আন্তর্জাতিক সোনাপাচার’ মামলার দায়িত্বে NIA

0
714

বঙ্গদেশ ডেস্ক: গত রবিবার সৌদি আরবের দূতাবাসের ঠিকানায় একটি পাঠানো একটি পণ্য বাজেয়াপ্ত হয়। বাক্স খুলে দেখা যায় তাতে ৩০ কেজী সোনা আছে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ঐ সোনা। পণ্যটি গ্রহন করার কথা ছিলো সরিথ পি এস নামে এক ব্যক্তির। গ্রেফতার করা হয় তাকে। এরপরেই গোটা ঘটনা রাজনৈতিক মোড় নেয় যখন সরিথ পি এস কেরালার রাজ্য সরকারী কর্মী স্বপ্না সুরেশের নাম নেয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায় কেরালার প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি তাঁকে কাজে নিয়েছিলেন।সমস্যা থেকে নিজেকে আড়াল করতে পিনারাই বিজয়ন তড়িঘড়ি সরিয়ে দেয় এই আই এ এস অফিসার এম শিবশংকর কে। বিরোধীরা সোনাপাচার ঘটনায় পিনারাই বিজয়নকে জড়িয়ে পদত্যাগের দাবী তোলে। এর পর বাধ্য হয়েই কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। চিঠি দিয়ে জানায় কেন্দ্রীয় সংস্থার দ্বারা এই ঘটনার তদন্ত হওয়া দরকার তার জন্য রাজ্য সরকার সর্বতোভাবে সাহায্য করবে।

সাধারনভাবে এন আই এ এই সমস্ত চোরাপাচারের মামলার তদন্ত করে না। শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদী মামলার বিচার করে এন আই এ। কিন্তু এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক চোরাপাচারচক্র ও বিদেশী দূতাবাসের যোগসাজশ আছে জানার পর এই ঘটনাকে সন্ত্রাসবাদের পর্যায়েই ফেলা হয়েছে। তদন্ত করে দেখা হবে চোরাপাচারকারীরা দেশের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড ভাঙার চেষ্টা করেছে কিনা। কেননা জানা গেছে সরিথ পি এস এর আগেও একাধিক ডিপ্লোমেটিক কার্গো গ্রহন করেছে। তাতে সোনা বা আরো দামী ধাতু যে বহন করা হয়নি তা বিশ্বাস করছে না কেউই।

প্রাথমিকভাবে এই ঘটনাটিকে আনলফুল অ্যাক্টিভিটিজ প্রিভেনশন অ্যাক্ট ১৯৬৭ এর ১৫ নাম্বার ধারা প্রয়োগ করে তদন্তভার হাতে নিয়েছে এন আই এ। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে পণ্যটি এসেছে শারজার ফাজিল ফরিদের কাছ থেকে। পণ্যটি পৌঁছে দেবার কথা ছিলো খামিস আলি শামলির কাছে। কিন্তু ধরা পড়ে যাবার পর তিরুবানন্তপুরমের আরব দূতাবাস এ সম্পর্কে নিজেদের দায় সম্পূর্ন এড়িয়ে গেছে।

তবে যেভাবে একাধিক রাজ্য সরকারী কর্মী জড়িত তাতে এটা পরিষ্কার এন আই এ কান টানলে কেরল সরকারের বিড়ম্বনা দিনের পর দিন বাড়বে। প্রাথমিকভাবে সন্দীপ নায়ার,স্বপ্না সুরেশ, ফাজিল ফারিদ, সরিত পি এস এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে এন আই এ।