বাঙ্গালীর ভাষা শুদ্ধ থাক, আরব সাম্রাজ্যবাদ নিপাত যাক

0
2327

“কোন একটা কথা বহু লোকে মিলিয়া বহু আস্ফালন করিয়া বলিতে থাকিলেই কেবল বলার জোরেই তাহা সত্য হইয়া উঠে না। অথচ এই সম্মিলিত প্রবল কণ্ঠস্বরের একটা শক্তি আছে এবং মোহও কম নাই। চারিদিক গমগম করিতে থাকে—এবং এই বাষ্পাচ্ছন্ন আকাশের নীচে দুই কানের মধ্যে নিরন্তর যাহা প্রবেশ করে, মানুষ অভিভূতের মত তাহাকেই সত্য বলিয়া বিশ্বাস করিয়া বসে। Propaganda বস্তুতঃ এই-ই।”   শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, ‘বর্তমান হিন্দু-মুসলমান সমস্যা’

খুব বেশিদিন আগেকার কথা নয়, এই উনিশ শতকেই বাংলার মৌলবীরা বাংলাকে “হিন্দুর ভাষা অথবা ‘কুফুরি জবান’ অর্থাৎ কাফেরের ভাষা বলে ফতোয়া দিয়েছিলেন।” [১] বিশ শতকের গোড়াতেও বাংলার অধিকাংশ মুসলমান বাংলাকে নিজেদের মাতৃভাষা বলে স্বীকার করতেন না, বেগম রোকেয়া, ফজলুল হকের পরিবার সহ অনেক অভিজাত মুসলমান পরিবারে উর্দু ছিল মাতৃভাষা। বাঙ্গালী যে হিন্দুই, এই নিয়ে কোন দ্বিমত ছিল না; বাংলার মুসলিম সম্প্রদায় নিজেদের মুসলমান পরিচয় দিয়েই সন্তুষ্ট ছিল। কিন্তু ছাপাখানার সহায়তায় বাঙ্গালী হিন্দু প্রণীত সাহিত্যের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ও ইংরেজ প্রবর্তিত প্রাতিষ্ঠানিক উচ্চশিক্ষার প্রসারের ফলে বাংলার মুসলমান সমাজে শুরু হয় জাতিসত্তার অনুসন্ধান, কিন্তু তা নিজেদের হিন্দু শিকড়কে অস্বীকার করে। নিজেদের জন্য পৃথক এক আইডেন্টিটি প্রতিষ্ঠা করার অন্যতম পন্থা হয় ক্রমাগত আরবি-ফারসি শব্দের অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে বাংলা ভাষাকে ‘হিন্দুত্ব’ বর্জিত করে তার ইসলামীকরণ। এর প্রেরণা ছিল মধ্যযুগের আরবি, ফারসি, ও তুর্কি ভাষার বিপুল মিশ্রণে সৃষ্ট মুসলিম পুঁথি সাহিত্য। এই বিজাতীয় ভাষার মিশ্রনের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও চিন্তাবিদ আহমদ ছফা, তাঁর প্রসিদ্ধ ‘বাঙালি মুসলমানের মন’ প্রবন্ধে:

“এই পুঁথিসমূহের দো-ভাষী অর্থাৎ বাংলা এবং আরবী-ফার্সী মিশ্রিত হওয়ার পেছনে একটি অত্যন্ত দূরবর্তী ঐতিহাসিক কারণ বর্তমান। হাদীসে তিনটি কারণে অন্যান্য ভাষার চাইতে আরবীকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। প্রথম হলো কোরআনের ভাষা আরবী, দ্বিতীয় কারণ বেহেশতের অধিবাসীদের ভাষা আরবী এবং তৃতীয়ত হজরত মুহম্মদ নিজে একজন আরবীভাষী ছিলেন। এই তিনটি মুখ্য কারণে যে সমস্ত দেশে ইসলাম প্রচারিত হয়েছে, সেখানে অপ্রতিরোধ্যভাবে এই ভাষাটিরও অনুপ্রবেশ ঘটেছে। […]বাঙালী মুসলমানের চোখে ফার্সী এবং উর্দু দুটো আরবীর মতোই পবিত্র ছিল। আর এ দুটো রাজভাষা এবং শাসক নেতৃশ্রেণীর ভাষা হওয়ায়, তাদের শ্রদ্ধা নিশ্চয়ই অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছিল। কিন্তু এ দুটির একটিকেও পরিপূর্ণভাবে রপ্ত করার জন্য একটি সমাজের পেছনে যে শক্ত আর্থিক ভিত্তি এবং সাংস্কৃতিক বুনিয়াদ থাকা প্রয়োজন ছিল দুটির কোনোটিই তাঁদের ছিল না। […] কিন্তু বাঙালী মুসলমানেরা নিজেদের সামর্থ্য অনুসারে আরবী, ফার্সী এবং উর্দু এই তিনটা ভাষার তালিম গ্রহণ করার প্রাণান্তকর প্রয়াস চালিয়ে গেছেন। আরবী, ফার্সী এবং উর্দু ভাষাটাও যখন তাঁদের পক্ষে পরিপূর্ণভাবে রপ্ত করা অসম্ভব মনে হয়েছে তখন ঐ বর্ণমালাতে বাংলা লেখার চেষ্টা করেছেন। […] যখন দেখা গেল আরবী হরফে বাংলা লিখেও সমাজে চালু করা যায় না তখন পুঁথিলেখকেরা সবান্ধবে পরবর্তী পন্থাটা অনুসরণ করতে থাকলেন। বাংলা ভাষার সঙ্গে এন্তার আরবী-ফার্সী শব্দ মিশেল দিয়ে কাব্য রচনা করতে আরম্ভ করলেন। জনগণ তাঁদের এই ভাষাটিকে গ্রহণও করেছিলেন।”

ভাষার ইসলামীকরণের বিরুদ্ধে রবীন্দ্রনাথের পত্র, ‘মক্তব-মাদ্রাসার বাংলা’, প্রবাসী, বৈশাখ ১৩৪১, পৃ. ১০৩-১০৪

তিরিশের দশকে বাংলা ভাষার এই আরবি-ফারসি দূষণ নিয়ে প্রবাসী পত্রিকায় আলোচনা কালে এক বাংলাভাষী মুসলমান পাঠক এই তাঁর সম্প্রদায়ের এই অবস্থানকে সমর্থন করলে, এই ভাষা-জেহাদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন রবীন্দ্রনাথ:

“আজকের বাংলা ভাষা যদি বাঙালী মুসলমানদের ভাব সুস্পষ্টরূপে ও সহজভাবে প্রকাশ করতে অক্ষম হয়, তবে তাঁরা বাংলা পরিত্যাগ করে উর্দ্দু গ্রহণ করতে পারেন। সেটা বাঙালী জাতির পক্ষে যতই দুঃখকর হোক না, বাংলা ভাষার মূল স্বরূপকে দুর্ব্যবহারের দ্বারা নিপীড়িত করলে সেটা আরো বেশি শোচনীয় হবে। […]
বাংলা ভাষায় সহজেই হাজার হাজার পার্সি আরবি শব্দ চলে গেছে। তার মধ্যে আড়াআড়ি বা কৃত্রিম জেদের কোন লক্ষণ নেই। কিন্তু যে-সব পার্সি আরবি শব্দ সাধারণ্যে অপ্রচলিত, অথবা হয়ত কোনো এক শ্রেণীর মধ্যে বদ্ধ, তাকে বাংলা ভাষার মধ্যে প্রক্ষেপ করাকে জবরদস্তি বলতেই হবে। হত্যা অর্থে খুন ব্যবহার করলে বেখাপ হয় না; বাংলার সৰ্ব্বজনের ভাষায় সেটা বেমালুম চলে গেছে। কিন্তু রক্ত অর্থে খুন চলে নি, তা নিয়ে তর্ক করা নিষ্ফল।” [২]

বাহান্নর তথাকথিত ভাষা আন্দোলনের পরেও কিন্তু বাংলা ভাষার উপর এই নিপীড়ন থেমে থাকেনি। কারণ ভাষা আন্দোলনের প্রেরণা বাংলা প্রেম ছিল না — বাংলা ভাষার প্রতি সত্যিই যদি তাদের দরদ থাকত তাহলে বাংলার সপক্ষে সোচ্চার হওয়া পত্রিকার নাম দৈনিক আজাদ, তকবীর, ইত্তেফাক, ইনসান বা ইনসাফ হতো না, সংগঠনের নামও হতো না ‘তমদ্দুন মজলিস’। বাংলা ভাষার প্রতি নিখাদ ভালবাসা থেকে সর্বপ্রথম বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানিয়ে ছিলেন এক বাঙ্গালী হিন্দু, নাম তাঁর ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। কালের পরিহাসে, একাত্তরে নৃশংসভাবে নিহত এই বীরাত্মার সম্পত্তির একাংশ পরবর্তীকালে পাকিস্তানি আমলের শত্রু সম্পত্তি আইনের বাংলাদেশি সংস্করণ, অর্পিত সম্পত্তি আইনের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের মুসলিমরা বেদখল করে নেয়।

আসলে ভাষা আন্দোলনের মূলে ছিল ভয়। রাষ্ট্র ভাষা উর্দু হয়ে গেলে চাকরিতে বাংলাভাষী মুসলমান পশ্চিম পাকিস্তানের মুসলমানদের থেকে পিছিয়ে পড়বে, মূলত এই আশঙ্কা থেকেই তথাকথিত ভাষা আন্দোলনের জন্ম। তাই ভাষা আন্দোলনের মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে এই ‘মুসলমানি বাংলার’ গ্রহণযোগ্যতা বজায় রাখতে ও বৃদ্ধি করতে ১৯৫৮সালে পূর্ব-পাক সাহিত্য সম্মিলনীর কালচার ও ভাষ্য শাখার সভাপতিরূপে মনসুর আহমদ ‘আমাদের ভাষা’ শীর্ষক ভাষণে বলেন:

“গোশতের বদলে ‘মাংস’, আণ্ডার বদলে ‘ডিম’, জনাবের বদলে ‘সুধী’, আরযের বদলে ‘নিবেদন’, তসলিমবাদ এর বদলে ‘সবিনয়’, দাওয়াতনামার বদলে ‘নিমন্ত্রণ পত্র’, ‘শাদি মোবারকের’ বদলে ‘শুভ বিবাহ’ ব্যবহার করিলেই আমরা ‘সভ্য’ ‘কৃষ্টিবান’ ও ‘সুধী বিদগ্ধ’ হইলাম, নইলে হইলাম না, এমন ধারণা হীনমন্যতার পরিচায়ক। […] গোশত, আণ্ডা ও পানির মধ্যে ‘ইসলামত্ব’ নাই বটে। কিন্তু ‘মুসলমানত্ব’ আছে। […] আমরা যদি ‘পানি’ ছাড়িয়া ‘জল’ ধরি তবে আমরা ধর্মচ্যুত হইব না সত্য কিন্তু ঐতিহ্যচ্যুত হইব নিশ্চয়ই।“ [৩]

স্বাধীন বাংলাদেশও এই “মুসলমানত্ব” বজায় রাখার উদ্দেশ্যে ক্রমাগত তৎসম তদ্ভব প্রভৃতি শব্দকে সরিয়ে আরবি-ফারসি শব্দ বাংলা অক্ষরে লিখে বাংলা ভাষার মাধুর্য সম্পূর্ণ বিনাশ করতে আজ উদ্যত। বর্তমানে বাংলাদেশের বাংলা ভাষায় প্রবিষ্ট আরবি-ফারসি শব্দের আধিক্য হেতু ২০১৫ সালে ঢাকার বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয়েছে মোহাম্মদ হারুন রশিদ দ্বারা সংকলিত ও সম্পাদিত বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত আরবি ফারসি উর্দু শব্দের অভিধান। বিপুল চাহিদার ফলে মাত্র তিন বছরে বইটির হয়েছে দুবার পুনর্মুদ্রণ। এখানে আছে প্রায় নয় হাজার শব্দ, যদিও সংকলক স্বীকার করেছেন, প্রকৃত সংখ্যা এর থেকে আরো বেশি। [৪]

এই ভাষা জেহাদের সাথে চলছে নিরন্তর হিন্দু নির্যাতন, যার ফলে আজ বাংলাদেশে বাঙ্গালীর, অর্থাৎ, বাঙ্গালী হিন্দুর সংখ্যা নেমে এসেছে আট শতাংশে। সর্বাত্মক ভাবে চলছে ধর্মীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা (বর্তমানে সমগ্র বঙ্গের মুসলমান জনসংখ্যা প্রায় সত্তর শতাংশ) ও স্বতন্ত্র বাংলাভাষী মুসলিম রাষ্ট্রের পরিচয়কে কাজে লাগিয়ে বহির্বিশ্বে এক নব্য বাঙ্গালী আইডেন্টিটি প্রতিষ্ঠা করার প্রয়াস, যেখানে বাঙ্গালী বলতেই মানুষ বুঝবে বাংলাভাষী মুসলমান ও তার সংস্কৃতি, যে ধারণা বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই সুপ্রতিষ্ঠিত। সেই নব্বইয়ের দশকেই এই ছবিটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, প্রয়াত হুমায়ুন আজাদের চোখে:

এদেশের মুসলমান এক সময় মুসলমান বাঙালি, তারপর বাঙালি মুসলমান, তারপর বাঙালি হয়েছিল; এখন আবার তারা বাঙালি থেকে বাঙালি মুসলমান, বাঙালি মুসলমান থেকে মুসলমান বাঙালি, এবং মুসলমান বাঙালি থেকে মুসলমান হচ্ছে। [৫]

এই পরিস্থিতিতে আরব সাম্রাজ্যবাদের তল্পিবাহকরা যতই ‘একুশে’ নিয়ে মাতামাতি করুক, বাঙ্গালী অর্থাৎ বাঙ্গালী হিন্দুর কাছে ওই তথাকথিত ‘একুশে’র কোন প্রাসঙ্গিকতা নেই। [৬] সত্যি বলতে, কোনদিন ছিলও না। সাতচল্লিশে মুসলিম লীগের নেতৃত্বে বাংলার মুসলিম সমাজ যখন সমগ্র বঙ্গ ও আসামকে নিয়ে ইসলামী পূর্ব পাকিস্তান গড়ার স্বপ্ন দেখছিল, তখন শ্যামাপ্রসাদ ও অন্যান্যদের নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল বাঙ্গালী হিন্দু বাসভূমির আন্দোলন বা Bengali Hindu Homeland Movement; আরব সাম্রাজ্যবাদের বুক চিরে জন্ম নিয়েছিল আমাদের পশ্চিমবঙ্গ।

বাংলার আরব সম্রাজ্যবাদীরা সেই পরাজয় বিস্মৃত হয়নি। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ভাসানী সেই আক্ষেপ থেকে বলেছিলেন:

আসাম আমার, পশ্চিমবঙ্গ আমার, ত্রিপুরাও আমার। এগুলো ভারতের কবল থেকে ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মানচিত্র পূর্ণতা পাবে না।

আজ বাংলার আরব সম্রাজ্যবাদীরা অনুপ্রবেশ ও ভোট ব্যাঙ্কের সাহায্যে সেই অধরা স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে উদ্যত। সাথে কিছু ক্ষুদ্র স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী আমাদের ইতিহাস বিস্মৃতির সদ্ব্যবহার করে, ‘ভাষাভিত্তিক বাঙালি জাতি’ তত্ত্ব ও ‘জয় বাংলা’ স্লোগানকে জনপ্রিয় করার মাধ্যমে সাধারণ বাঙ্গালীকে বিপথে চালিত করে সুকৌশলে আরব সাম্রাজ্যবাদীদের ‘বৃহৎ বাংলাদেশ’ গড়ার চক্রান্তকে সফলতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

তাই আজ যুগের আহবান এই আরব সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে নামার। আজ বাঙ্গালীর সংগ্রাম আরব সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে বাংলা ভাষার শুদ্ধতা, বাঙ্গালী সংস্কৃতির উৎকর্ষ, বাঙ্গালীর রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব বজায় রাখার সংগ্রাম। সুতরাং আমাদের ‘একুশে’ ওই তথাকথিত ভাষা আন্দোলনের মিথ উদযাপন নয়, আমাদের ‘একুশে’ আরব সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অঙ্গীকার। আমাদের ‘একুশে’ আরব সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী দিবস।

 তথ্যসূত্র

[১] গোলাম মুরশিদ, হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি, অবসর, ২০১৪, পৃ: ১৮০-৮১
[২] ‘মক্তব-মাদ্রাসার বাংলা’, প্রবাসী, বৈশাখ ১৩৪১, পৃ. ১০৩
বিশ্বভারতীর দ্বারা বাংলা শব্দতত্ত্ব গ্রন্থে ‘ভাষা-শিক্ষায় সাম্প্রদায়িকতা’ শিরোনামে রবীন্দ্রনাথের এই পত্র সন্নিবেশিত করার সময় “আজকের বাংলা ভাষা […] আরো বেশি শোচনীয় হবে।” অংশটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, যার ফলে রচনাবলীতে পত্রের এই অনুচ্ছেদটি উপলব্ধ নয়।
[৩] আবুল মনসুর আহমদ, বাংলাদেশের কালচার, আহমদ পাবলিশিং হাউস, ২০১১, পৃ. ১২৯-৩০
[৪] মোহাম্মদ হারুন রশিদ সম্পাদিত বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত আরবি ফারসি উর্দু শব্দের অভিধান, বাংলা একাডেমি ঢাকা, ২০১৮, ভূমিকা অংশ পৃ. ১৩)
[৫] হুমায়ুন আজাদ, প্রবচনগুচ্ছ, প্রবচন নং ৬২
[৬] বিভাজন উত্তর পূর্ববঙ্গের ইতিহাসের কোন ফেব্রুয়ারির প্রাসঙ্গিকতা যদি বাঙ্গালীর থাকে তো সেটা ১৯৫০ সালের পূর্ববঙ্গের ঢাকা-বরিশাল ও অন্যত্র জুড়ে সংঘটিত গণহত্যা, যা শুরু হয়েছিল ১০ই ফেব্রুয়ারি। গণহত্যার বীভৎসতা বাধ্য করেছিল পাকিস্তানের তৎকালীন আইনমন্ত্রী, নমঃশূদ্র নেতা যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডলকে ভারতে আশ্রয় নিতে।