পাকিস্তানে সরকারের মদতে আবার বেছে বেছে হিন্দু বাড়িঘর ধ্বংসের ঘটনা

0
552

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- পাকিস্তানে শুধুমাত্র হিন্দু ঘরবাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাহ‌ওয়ালপুরে পর উমরকোটে ঘটল হিন্দু পরিবার পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা, অভিযোগ।

পাকিস্তানে  সংখ্যালঘু হিন্দুদের মধ্যে হতাশা প্রবল হয়ে পড়েছে, কারণ পাকিস্তানের ইসলামী চরমপন্থীদের দাপটে তাদের জীবন কার্যত ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, দলে দলে হিন্দু মেয়েদের অপহরণ করা হচ্ছে এবং ইসলামে রূপান্তরিত করার জন্য বাধ্য করা হচ্ছে। হিন্দু মন্দির ধ্বংসের পাশাপাশি হিন্দু ঘরবাড়িও বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। পাকিস্তানি সরকার এখন সিন্ধু-পাকিস্তানের উমরকোট জেলায় প্রধানত হিন্দু পরিবারের ওপর বুলডোজিং করছে বলে অভিযোগ।

পাকিস্তানি লেখক ও সাংবাদিক রাহাত অস্টিন এই ঘটনার দুটি ভিডিও ক্লিপিং টুইটারে দেন। রাহাত বেশ কয়েকটি হিন্দু পরিবার পুড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও পোস্ট করে বলেন যে, পাকিস্তানে অমুসলিম জনসংখ্যা সাম্প্রতিক বন্যার কারণে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিন্তু এখন ইচ্ছা করে হিন্দুদের ঘরবাড়িগুলি বুলডোজ করা হচ্ছে। তিনি বলেছেন “সাম্প্রতিক বন্যা পাকিস্তানে অ-মুসলমানদের ভীষণ ক্ষতি করেছে। তাদের গভর্নমেন্ট এবং নন-গভর্নমেন্ট কোনো পক্ষ থেকেই সাহায্য করা হয়নি।” তিনি আরোও জানান, করোনা মহামারির সময় লক ডাউন চলাকালীন জোরজবরদস্তি করে ইসলাম ধর্মে রূপান্তরিত করার স্বার্থে হিন্দু ঘরবাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

২০২০ সালের মে মাসে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে হিন্দু বস্তি ভেঙে গুঁড়িয়ে তছনছ করে দেওয়া হয়। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাহওয়ালপুর শহরের হিন্দু পরিবারগুলি সরকারের পক্ষ থেকে ভেঙে দেওয়া হয় । সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, হিন্দু পরিবারের সামনে একটি বুলডোজার রাখা রয়েছে এবং অসহায় নারী ও শিশুর দল আশ্রয়ের জন্য সাহায্য প্রার্থনা করছে‌।হাউজিং মন্ত্রী তারিক বশির চেমারের তত্ত্বাবধানে এই ধ্বংসলীলা চলে। তিনি আবার ইমরান খান সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য।

সংখ্যালঘুদের ওপর ধর্মীয় নিপীড়ন পাকিস্তানজুড়ে ব্যাপকভাবে চলে। এই বছরের জানুয়ারিতে, একটি মুসলিম ছেলে একটি হিন্দু মেয়েকে বিয়ের আসর থেকে অপহরণ করেছিল। এরপর তাকে মুসলিম ধর্মে ধর্মান্তরিত করে জোর করে বিয়ে করা হয়।

এই ধরনের ঘটনাগুলির পরিপ্রেক্ষিতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে “27-nation International Religious Freedom Alliance” গঠন করে যা বিশ্বজুড়ে ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা ও সংরক্ষণের চেষ্টার কাজ করবে বলে জানানো হয়। এই সংগঠন তৈরির মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশেষ করে পাকিস্তানে হিন্দুদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেছেন ।