ইসলাম অবমাননার দোহাই দিয়ে সংখ্যালঘু মা ও ছেলেকে খুন পাকিস্তানে

0
534

বঙ্গদেশ ডেস্ক – ইসলাম ধর্মকে অবমাননার অভিযোগ তুলে পাকিস্তানে খুন করা হল খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মা ও ছেলেকে। ইসলামবিরোধী কথা বলায় প্রতিবেশীরাই তাদের খুন করেছে বলে অভিযোগ, যদিও পুলিশ সে কথা মানতে নারাজ। পাকিস্তানে কেমন অবস্থায় আছেন হিন্দু ও খ্রিস্টানরা, এই ঘটনা তা আরও একবার স্পষ্ট করে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

সোমবার পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের হুসেন কঠোর গ্রামে ইয়াসমিন মসিহ ও তাঁর ছেলে উসমান মসিহকে অতর্কিতে আক্রমণ করে প্রতিবেশীরা। চোখের পলকে গুলি করে মা-ছেলেকে খুন করা হয়। অভিযোগ তারা ইসলাম ধর্মের সমালোচনা করেছিল, তাই তাদের উপযুক্ত শিক্ষা দিতে হামলা চালায় প্রতিবেশীরা। ইয়াসমিনের স্বামী শাব্বির মসিহর অভিযোগ করেছেন, প্রতিবেশী হুসেন শকুরই খুন করেছে তার স্ত্রী ও ছেলেকে।

তবে পুলিশি অভিযোগে ইসলাম বিরোধী মন্তব্যের উল্লেখ নেই বলেই জানা গিয়েছে অপ‌ইন্ডিয়ার রিপোর্ট মারফত। সেখানে ব্যক্তিগত শত্রুতাকে খুনের মূল কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। পুলিশের দাবি, গুজরানওয়ালা জেলার আহমেদ নগর এলাকার বাসিন্দা ইয়াসমিনের সঙ্গে বচসা বাঁধে প্রতিবেশী হুসেন শকুরের মা ইতরাত বিবির। রাস্তা সাফাই নিয়ে অশান্তির জেরেই ব্যক্তিগত শত্রুতা তৈরি হয়েছিল দুই পরিবারের মধ্যে।

মৃতার স্বামী শাব্বির মসিহর অভিযোগ, কয়েক মাস আগে রাস্তা সাফ করা নিয়ে ইয়াসমিন ও ইতরাত বিবির মধ্যে জোর ঝগড়াঝাঁটি হয়েছিল। সেই অশান্তির জের টেনেই সোমবার ফের বিবাদে জড়িয়ে পড়েন ইয়াসমিন ও ইতরাত। ঝগড়ার পারদ চড়লে চকিতে ঘর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে ইয়াসমিনের দিকে গুলি ছোঁড়ে হুসেন শকুর। মাকে বাঁচাতে এসে গুলিবিদ্ধ হয় উসমান নিজেও। যদিও পাক সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, আততায়ী ও তার মা ভেবেছিল ইয়াসমিন ও তার ছেলে ইসলামের সমালোচনা করছিলেন। তাই ক্রোধের বশে তাদের গুলি করে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পাকিস্তানে একাধিক খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের উপর সম্প্রতি হামলার ঘটনা মিডিয়ার নজরে এসেছে। বেশ কিছুদিন আগে এক খ্রিস্টান নাবালিকাকে জোর বিয়ে করার অভিযোগ ওঠে এক প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। এই সমস্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ভারত-সহ একাধিক দেশের অভিযোগ, পাকিস্তানে বসবাসকারী সংখ্যালঘুদের উপর বিভিন্ন সময় নব্য নব্য পন্থায় অত্যাচার চালাচ্ছে সেই দেশের সংখ্যাগুরু মুসলিম সম্প্রদায়। আর এই ব্যাপারে সেই দেশের প্রশাসন সম্পূর্ণ নীরব।