গৌতম চন্দ্র
শুন শুন রাজ্যবাসী শুন দিয়া মন
বহিরাগতের কথা আমি করি গো বর্ণন।
গঙ্গোত্রী বঙ্গের বাইরে
তাই গঙ্গার জল বহিরাগত,
কপিল মুনির বাড়ি কোথায়
জানিনা বাবা অতশত।
ম্যালেরিয়ার মহৌষধ
আর্টিমিসিয়া আর সিঙ্কোনা,
দুটি গাছই যে বহিরাগত
তা তো সবার জানা।
গাপ্পি আর গাম্বুসিয়া,
মশার লার্ভা খায় গোগ্রাসে,
গেড়ে বসল দেশ জুড়ে
বিদেশ থেকে এসে।
সিলভার আর গ্র্যাস কার্প এল
তিলাপিয়া সঙ্গে নিয়ে,
আমেরিকান রুই পাতে পড়ে
জন্মভূমি না জানিয়ে।
অনেকগুলো ডিম পাড়ে
আকার ও বেশ মোটা,
লেগহর্নের গায়ে লাগে না
ব.. ব.. বহিরাগতের খোঁটা।
জার্সি গরুর দুধ পানে
গায়ের বাড়ে জোর,
বহিরাগত, বহিরাগত
কেউ করে না শোর।
ভারতাত্মা রামচন্দ্র
বাবুদের মতে বহিরাগত!
কৈলাসবাসী শিবদুর্গার কথা
ভাবা যাবে- খুশিমত।
‘ভগিনী’ তো বাংলা কথা
নিবেদিতার অগ্রে কেন !
ঘটে কোনও বুদ্ধি নাই…
বহিরাগত নাহি চেন?
‘সনাতন’, ‘বৌদ্ধ’ ‘খ্রিস্ট’, ‘ইসলাম’
বহিরাগত না স্বদেশজাত,
ভারত কখনই ভাবে নাই,
ভারত মাতার সন্তানেরা গর্বে বাঁচে তাই।