মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা না করে ভারতকে S-400 ক্ষেপণাস্ত্র দেবে রাশিয়া

0
489

বঙ্গদেশ ডেস্ক: আমেরিকার প্রবল আপত্তি এবং নিষেধাজ্ঞার হুমকিকে পাত্তা না দিয়ে ভারতের সঙ্গে S-400 মিসাইল সিস্টেমের হস্তান্তর প্রক্রিয়া এগিয়ে চলেছে ঠিক পথেই। ঠিক এই ভাষাতেই মোদী সরকারকে নিশ্চিন্ত করেছে বন্ধুদেশ রাশিয়া। ভারতে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত নিকোলে কুদাশভ সোমবার দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, চুক্তিমাফিক সঠিক সময়ের মধ্যে ভারতকে মিসাইলের ডেলিভারি দেবে রাশিয়া। এই ব্যাপারে তারা দায়বদ্ধ।

তিনি বলেন, “মেক ইন ইন্ডিয়া ও আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পের অধীনে ভারত ও রাশিয়া যৌথভাবে কামোভ ২২৬ অ্যাটাক হেলিকপ্টার, একে ২০৩ রাইফেল তৈরি করবে। আর এগুলি তৈরি হবে ভারতের মাটিতেই। কৌশলগত কারণেই রাশিয়া দীর্ঘদিনের বন্ধু ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে এই পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মাধ্যমে প্রযুক্তিগতভাবে আরও উন্নত করা হবে ভারতের যুদ্ধবিমান এবং অন্য সামরিক সরঞ্জামগুলিকেও।” এস ৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা কেনার জন্য ২০১৮ সালের অক্টোবরে ভারত রাশিয়ার সঙ্গে ৫৪০ কোটি ডলারের ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। শুধু ভারত নয়, এই অত্যাধুনিক মিসাইল সিস্টেম কেনার তালিকায় রয়েছে চীন ও তুরস্ক‌ও।

তবে প্রথম থেকেই ভারত ও তুরস্কের S-400 মিসাইল সিস্টেম কেনা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে এসেছে আমেরিকা। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে পাল্টা নিষেধাজ্ঞা চাপানোর হুমকিও দিয়েছে ওয়াশিংটন। এঅন্যদিকে, পাকিস্তানের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক নিয়ে ভারতকে আশ্বাস দিয়েছেন রুশ রাষ্ট্রদূত। তিনি সাফ জানিয়েছেন, ইসলামাবাদের সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ক নিয়ে নয়াদিল্লির দুশচিন্তার কোনও কারণ নেই। তিনি আরও বলেন, আমেরিকার একতরফা নিষেধাজ্ঞাকে রাশিয়া মান্য করে না।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতের আকাশকে অভেদ্য করে তুলতে অত্যাধুনিক এস-৪০০ (S-400) মিসাইল সিস্টেম কেনার জন্য রাশিয়ার সঙ্গে বিশেষ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত। ভূমি থেকে বায়ুতে আঘাত হানতে সক্ষম এস-৪০০কে রাশিয়ার সবচেয়ে উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। ২০১৪ সালে প্রথম রাশিয়ার থেকে এস-৪০০ কেনার চুক্তি করে চীন। তারপরই প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চৈনিক চোখরাঙানি থামাতে প্রয়োজন এস-৪০০। পাকিস্তানের কাছে প্রায় ২০ স্কোয়াড্রন মার্কিন এফ-১৬ বিমান মজুত রয়েছে। চীনের তরফেও বিপদের আশঙ্কা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ফলে দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এই হাতিয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।