কৃষকদের স্বার্থে আসরে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং!স্বহস্তে বিলি করবেন ১৮ হাজার কোটি টাকা

0
538

বঙ্গদেশ ডেস্ক: দিল্লী সীমান্তে চলমান তথাকথিত কৃষক বিক্ষোভ মেটাতে কৃষকদের স্বার্থে আসরে নামলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং। কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের কথায় কোন‌ও কাজের কাজ হয়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর আহ্বানেও সাড়া দেয়নি বিক্ষুব্ধ কৃষকরা। ওনাদের একটাই অভিযোগ, নয়া কৃষি আইন কৃষকদের স্বার্থে আঘাত করেছে অথচ নতুন আইনের আওতায় ইতিমধ্যে কৃষকরা লাভবান হতে শুরু করেছে যার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে। তাই এবার স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদী দেশের স্বার্থে এই বিক্ষোভকে থামানোর চেষ্টা করছেন। দিল্লীর সাধারণ জনজীবন পুনরায় স্বাভাবিক করতে চাইছেন।

গত রবিবার তিনি হঠাতই পৌঁছেছিলেন গুরুদ্বারে। সেখানে শিখগুরু তেগবাহাদুরকে শ্রদ্ধা জানিয়ে এসেছেন। এবার তিনি দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকদের সঙ্গেও আলোচনায় বসবেন বলে খবর। শুধু তাই-ই নয়, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির পরবর্তী কিস্তির প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা নিজহস্তে কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করবেন।

২০১৯ সালে কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের সূচনা করেন মোদী। এই প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের বার্ষিক ৬ হাজার টাকা করে অর্থ সাহায্য করে কেন্দ্র। বছরে তিনবার ২ হাজার টাকার কিস্তিতে দেওয়া হয় বরাদ্দ টাকা। ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম এই কিস্তির টাকা কৃষকদের জন্য বরাদ্দ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ফের ২০২০ সালের শেষ কিস্তি স্বয়ং বরাদ্দ করছেন মোদী। ঠিক যে সময়ে কৃষক বিক্ষোভে রাজধানী দিল্লী উত্তাল তখনই মোদীর নিজের হাতে এই অর্থ বরাদ্দ মনে করিয়ে দেয় তিনি দেশের মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল।

বড়দিনে স্বহস্তে টাকা তুলে দেওয়ার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ আলোচনাও করবেন প্রধানমন্ত্রী। কৃষিমন্ত্রক সুত্র মারফত খবর পাওয়া গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের চার প্রান্তের কৃষকদের সঙ্গে এই কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্প সম্পর্কে খোলাখুলি কথা বলবেন। এই প্রকল্পের আওতায় তারা কী কী সুবিধা পেয়েছেন, সেকথাও শুনবেন। এমনকী নয়া কৃষি আইন নিয়েও তিনি কৃষকদের একেকটি প্রশ্নের উত্তর দেবেন বলে জানা গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই অনেকেই আশাবাদী আগামী ২৫ ডিসেম্বর কৃষক বনাম মোদী সমস্যার সমাধান নিয়ে।

এদিকে, কেন্দ্রের তরফেও ত্রুটির অভাব নেই। বিক্ষোভরত কৃষকদের ৪০টি সংঠনকে নতুন করে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। মঙ্গলবার কৃষক সংঠনগুলি নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে, কেন্দ্র প্রস্তাবিত নতুন বৈঠকের প্রস্তাব তারা গ্রহণ করবেন কিনা।