সেকুলার অ্যাক্টিভিষ্ট রেহনা ফতিমার টিভিতে “গোমাতা” রন্ধন, হাইকোর্ট খারিজ করল জামিন

0
1226

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- একটি রান্নার অনুষ্ঠানে গরুর মাংসের সমার্থক হিসেবে ‘গোমাতা’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছিল। আর তা হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে। সমাজকর্মী রেহনা ফতিমার রান্নার অনুষ্ঠান সংক্রান্ত একটি মামলায় এমনটাই জানিয়েছেন কেরালা হাইকোর্ট।

রেহনা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মৈ রান্নার অনুষ্ঠানের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন। সেখানে দেখা গিয়েছে রান্নার রেসিপি এবং সেই পদ তৈরির সময ইচ্ছাকৃতভাবে একাধিকবার ‘গোমাতা’ শব্দটি উল্লেখ করেছেন। সেই ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পুরোপুরি মুছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সুনীল থমাস।

বিচারপতি বলেন, রেহনা যে ঘৃণ্য কাজ করেছেন, তাতে অন্য একটি মামলায় তাঁর জামিনের শর্ত লঙ্ঘিত হয়েছে। জানা গিয়েছে, এর আগে শবরীমালা মন্দিরের ভগবান আয়াপ্পার বিরুদ্ধে কুরুচিকর জিনিসপত্র মিডিয়ায় তুলে ধরেছিলেন তিনি। এরপর মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলায় ২০১৮ সালে তাঁর জামিনের ক্ষেত্রে একাধিক শর্ত আরোপ করেছিল হাইকোর্ট। জামিন প্রদানের সময় হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, মুদ্রণ, বৈদ্যুতিন মিডিয়ার মাধ্যমে এমন কোনও কিছু বলা যাবে না, এমনকি শেয়ার বা ফরোয়ার্ডও যাবে না, যা কোনও সম্প্রদায়ের ভাবাবেগকে আঘাত করতে পারে।

গরুর মাংসের সমার্থক হিসেবে ‘গোমাতা’ শব্দটি ব্যবহার করায় মামলায় অভিযোগকারী ২০১৮ সালের সেই মামলাটির উল্লেখ করে বলেন, জামিনের শর্ত লঙ্ঘন করে ফের একবার বিতর্কিত ভিডিয়ো আপলোড করেছে রেহনা। অভিযোগকারীর দাবি, হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবেই ‘গোমাতা’ ব্যবহার করেছিল রেহনা। কারণ গরুকে হিন্দু ধর্মে মাতা হিসেবে মানা হয়।

সবকিছু পর্যালোচনা করে হাইকোর্ট জানান, ‘খারাপ উদ্দেশ্যে এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে’ ‘গোমাতা’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। বিচারপতি আরও জানান, রেহনার জামিন খারিজ করে দেওয়ার পেছনে যথেষ্ট কারণ আছে। রেহনাকে ভিস্যুয়াল বা বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে কোনও বিষয় পোস্ট বা কমেন্ট করা, শেয়ার করা বা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এছাড়া বলা হয়েছে, আগামী তিন মাস রেহনাকে সংশ্লিষ্ট থানায় প্রতি সোমবার ও শনিবার সকাল ন’টা থেকে সকাল ১০ টার মধ্যে হাজিরা দিতে হবে।