আত্মনির্ভর ভারতঃ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ১১৮ টি অর্জুন-১এ ট্যাঙ্কের অর্ডারের সম্ভাবনা

0
648

বঙ্গদেশ ডেস্ক – ভারতকে সমর সজ্জার জন্য আর হন্যে হয়ে তাকিয়ে থাকতে হবে না বিদেশের দিকে, মুখাপেক্ষী হতে হবে না টেক্নোলজি ট্রান্সফারের, ভয় পেতে হবে না মার্কিন বা ইউরোপিয়ান স্যাংশানের। যত দিন যাচ্ছে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আরও স্বনির্ভর হচ্ছে ভারত। কিছুদিন আগেই দেড়শোরও বেশি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পে ভারতে তৈরি হওয়া প্রতিরক্ষা সরঞ্জামাদি বিদেশে রপ্তানির গ্রীন সিগন্যাল দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। ভূমি – জল – আকাশ প্রতিটি বিভাগেই ডিফেন্স ক্ষেত্রে ‘আত্মনির্ভর’ হচ্ছে ভারত।

এখন আবার তেমনই ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর সাফল্যের আর একটি মুহূর্ত দেশের সামনে উপস্থিত। ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য নতুন দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অর্জুন ১ এ ট্যাংকের দুটি রেজিমেন্টের অর্ডার দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। ১১৮ টি ট্যাঙ্ক সমন্বিত দুটি রেজিমেন্টই ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) তৈরি করেছে। আর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল, প্রাথমিক সংস্করণগুলির থেকে এতে ৭১ টিরও বেশি উন্নতি (New adjustment) সাধন করা হয়েছে।

মনে করা হচ্ছে এক্ষেত্রে ছাড়পত্রের জন্য স্বাভাবিক পথই নেওয়া হবে এবং The Defence Acquisition Council ও সুরক্ষা বিষয়ক Cabinet Committee খুব দ্রুতই প্রয়োজনীয় ছাড়পত্রগুলি দেবে। টাইমস নাউ তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে যে এই চুক্তি অনুসারে মোট ৮,৯৫৭ কোটি টাকা (মোটামুটিভাবে) খরচা হতে পারে সরকারের। তবে এটি কেবল ট্যাঙ্কগুলির মূল্য নয়, এর সাথে অতিরিক্ত সরঞ্জাম (এন্সিলিয়ারি) এবং সার্ভিসিংও এই চুক্তির অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে।

সেনাবাহিনীর কাছে ইতিমধ্যেই অর্জুনের পূর্ববর্তী সংস্করণগুলির বিভিন্ন রেজিমেন্টও রয়েছে। যদিও রাশিয়ান ডিজাইনের টি – ৯০ হল সেনাবাহিনীর মূল যুদ্ধের ট্যাঙ্ক (main battle tank – MBT) তবুও অর্জুনকে সাঁজোয়া বাহন হিসাবে ব্যবহারের ভাবনা রয়েছে। টাউমস নাউয়ের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এটিকে বিশেষভাবে দক্ষিণ রাজস্থান অঞ্চলে এবং থর মরুভূমিতে ব্যবহারের জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে। জনবসতির দ্রুত বৃদ্ধি, খাল, নালা এবং গাছপালা ও চাষ জমি বেড়ে যাওয়ার কারণে পাঞ্জাব এবং উত্তর রাজস্থানে ট্যাঙ্ক চালনা এখন আরও বেশি কঠিন হয়ে পড়েছে।

অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক অস্ত্র

শুধু নিজস্ব ট্যাঙ্ক থাকলেই হবে না, শত্রুর সাঁজোয়া বাহিনীকে ধ্বংসও করতে হবে। পাঁচটি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এন্টি-ট্যাঙ্ক অস্ত্র ট্রায়ালের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে, সরকারের এক সূত্র এরকমই জানিয়েছে বলে ডিফেন্স নিউজ তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে নাগ অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল, এটির স্বতন্ত্র ও অত্যাধুনিক আর একটি সংস্করণ, হেলিং বা হেলিকপ্টার থেকে নিক্ষেপ করা যায় এমন একটি অস্ত্রব্যবস্থা। অর্জুনের ব্যারেলের একটি MPATGM বা ম্যান-পোর্টেবল সংস্করণও তৈরি হচ্ছে।