৩০ বছর ধরে পাহাড়-জঙ্গলে হেঁটে গ্রামে চিঠি পৌঁছেছেন ডি-সিভান

বঙ্গদেশ ডেস্ক: তামিলনাড়ুর সেই গ্রামগুলিতে ইন্টার্নেট নেই, টেলিফোন আছে কিনা তাও জানা নেই। তবে ৩০ বছর ধরে ছিলেন পোস্টম্যান ডি সিভান। কখনো পাহাড়ের ঘুর্নিপথ বেয়ে, কখনো রেলট্র্যাক দিয়ে, কখনো আবার জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে পায়ে হেঁটে অথবা সাইকেলে করে প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে পৌঁছে দিয়েছেন চিঠি ও দরকারি কাগজপত্র৷ মুখে নেই কোনো ক্লান্তির ছাপ, নিজের কাজের প্রতি অভিযোগও নেই। শুধু রয়েছে কাজের প্রতি তীব্র নিষ্ঠা।

বেশীরভাগ সময়েই তিনি হেঁটে পার করতেন নীলগিরি পর্বতের রেলপথ। নিজের গ্রাম থেকে যেতেন কন্নড়ের হিলগ্রোভ পোস্ট অফিসে। সেখান থেকে আবার শুরু হত স্থানীয় অঞ্চলে চিঠি পৌঁছে দেওয়ার কাজ। আবার পাহাড় টপকানো, জঙ্গল পেরোনো। পথে বহুবার হিংস্র পশু, সাপের মুখোমুখি হয়েছেন, তবে হেরে গিয়ে ছেড়ে দেননি তিনি।

৩০ বছর ধরে শুধুমাত্র কাজের খাতিরে হার না মানা লড়াইয়ের পরেও আধুনিক ডিজিটাল দুনিয়ায় কেউ চেনেনা তাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার জীবনের গল্প তুলে ধরেছেন আইএএস অফিসার সুপ্রিয়া সাহু। টুইটারে ওই আইএএস অফিসার ওনার একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন ‘ বন্য হাতি, ভাল্লুক, ঝরণা, কর্দমাক্ত পিছল রাস্তার বাধা পেরিয়ে নিজের কাজ করে গিয়েছেন। বহু বাধার সম্মুখীন হলেও কাজ থেকে একচুল সরেননি৷ ৩০ বছরের কর্মজীবনে কাজকেই সবচেয়ে বেশী প্রাধান্য দিয়েছেন এই পোস্টম্যান৷’

কিছুক্ষণ সময়ের মধ্যেই ভাইরাল হয় আইএএস অফিসারের সেই পোস্ট! গোটাদেশের কাছে ‘নায়ক’ হয়ে ওঠেন এই কর্মবীর প্রবীন পিওন। তাঁকে জাতীয় সম্মানে সম্মানিত করার দাবীও ওঠে টুইটারে।