পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের ৩০% পাইলটের লাইসেন্স ভুয়ো

0
472

বঙ্গদেশ ডেস্ক: পাকিস্তানের সরকারী বিমানসংস্থা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স এর ৪৬২ জন পাইলটের মধ্যে ১৫০ পাইলটের লাইসেন্স জাল।

কিছুদিন আগে ২২ শে মে পাকিস্তান এয়ারলাইন্সের এয়ারবাস এ৩২০ লাহোর থেকে করাচি যাবার সময় ভেঙে পড়ে। ৯৭ জন যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান। দু’জন যাত্রী আশ্চর্যজনকভাবে বেঁচে যান। এরপর আন্তর্জাতিক চাপে তদন্ত করতে বাধ্য হয় পাকিস্তান সরকার। সেই সংক্রান্ত তথ্য পাকিস্তানের সংসদে জানাতে গিয়ে পাকিস্তানের উড়ানমন্ত্রকের মন্ত্রী গুলাম সারওয়ার খান সংসদে জানান পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের ৪৬২ জন পাইলটের মধ্যে ১৫০ জন পাইলটের সার্টিফিকেট জাল ও পাকিস্তানের ৮৬২ জন পাইলটের মধ্যে ২৬২ জন পাইলটের লাইসেন্স জাল।প্রাথমিক ভাবে তদন্তেই এই তথ্য পাওয়া গেছে।

২২ শে মে এর ঘটনায় পাইলটেরা শেষ আধঘন্টা করোনাভাইরাস নিয়ে আলোচনায় মত্ত ছিলেন তাই বিমানচালনায় সম্পূর্ন মনোযোগ দেননি বলে তথ্য পাওয়া গেছে। কিভাবে এতজন পাইলট ভুয়ো লাইসেন্স পেল তা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানিয়েছেন, ভুয়ো লাইসেন্সধারীদের পরিবর্তে অন্য কোন ব্যক্তিরা পরীক্ষা দিয়ে লাইসেন্স পেয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।

শুধু তাই নয় পাইলটদের নিযুক্তিতে জ্ঞান এর থেকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক প্রভাবকে। সরকারী তথ্যে তা স্বীকার করেছে পাকিস্তান সরকার। পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স ঋনজালে জর্জরিত এমন অবস্থায় ১৫০ জন পাইলট কে বসিয়ে দেওয়া নিশ্চিতভাবেই বিরূপ প্রভাব ফেলবে ব্যবসায় তা মেনে নিয়েছেন পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র।

আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন নিয়ন্ত্রক সভা (IATA) ভুয়ো ডিগ্রীযুক্ত পাইলট কাজ করার খবরে প্রচন্ড ক্ষিপ্ত ও পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের ওপর ব্যবস্থা নেবার কথাও ভাবছে।তারা এই ঘটনাকে ‘ভয়ঙ্কর ত্রুটি ‘ বলে বিবৃতি দিয়েছে।পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সে বর্তমানে ৩১ টি বিমান রয়েছে ও ১৪ হাজারের ও বেশি কর্মী কাজ করেন।