তপন ঘোষ – মৃত্যুঞ্জয়ী শঙ্খনাদ

0
805
তপন দা, নামটার মধ্যেই লুকিয়ে আছে শিহরণহ্যাঁ, প্রান্তিক বাঙালির, হিন্দু চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাঙালির কাছে

তপন দা, এই নামটার মধ্যেই লুকিয়ে আছে শিহরণ

তোমার আদর্শে দীক্ষিত বাঙালি আবারও খুঁজে পেয়েছে তার শিকড়

যে শিকড়ের মধ্যে লুকিয়ে আছে ত্যাগ, বলিদান আর আগ্রাসন ।

কিন্তু তপন ঘোষ মানে কি শুধুই গনগনে আগুনের আঁচ?তপন ঘোষ মানে কি শুধুই কালী মায়ের অস্ত্রধারী হুংকার?

জমির প্রতি, মাটির প্রতি, অবহেলিত, শোষিতের প্রতি

নিঃস্বার্থ আবেগের, ভরসার নাম তপন ঘোষ

অন্ধকার চোরাবালিতে হাঁসফাঁস করতে করতে যখনই ভেসে এসেছে হাহাকার

হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বন্ধু তপান ঘোষ, জনাতে চাননি কি তোমার রাজনৈতিক পরিচয়

তাইতো বলি, হিন্দুর ত্রাতা তপন ঘোষ কি শুধুই গনগনে আগুনের আঁচ?

অদূরদর্শী, ক্ষমতালোভী হিন্দু বিদ্বেষী রাজনীতিতে এই বঙ্গ যখন জর্জরিতযখন রাজনীতির নামে, শ্রমিকের শোষণ, ভাতের লড়াই

এই মিথ্যাচারে আশ্রয় নিয়ে বঙ্গের হিন্দুকে ক্রমাগত করা হচ্ছিল কোণঠাসা

যখন শিকড়ের সন্ধানের লড়াইয়ে দিকভ্রষ্ট বাঙালি নুব্জ, কুব্জ, দিশেহারা

তখনই বেজে উঠলো শঙ্খনাদ, তপন ঘোষের

“জমি কারুর বাপের নয়, দাপের”, এই নির্ভীক সত্যের শঙ্খনাদ

প্রান্তিক বাঙালি, হিন্দু বাঙালি ঝেড়ে ফেলল গ্লানি, চোখে মেলাতে শিখলো চোখ

তাইতো মিথ্যচারের রাজনীতি, হিন্দু শোষণের রাজনীতি

আজ আস্তাকুরে পচনশীল, ব্রাত্য, ঘৃণিত ।

কিন্তু এত প্রাণ যে তপন দার মধ্যে, কেউ কি ভেবেছিলকেউ কি একবারও ভেবেছিল হঠাৎই, বড় নিঃশব্দে থেমে যাবে এই প্রাণ!

আর শোনা যাবে না সেই ব্যাঘ্র গর্জন, “রক্ত দেবো, কিন্তু জমি দেবো না!”

হ্যাঁ, থেমে গেছে, বড়ই নিঃশব্দে আজ থেমে গেছে

আমাদের তপন দা, লড়াকু বাঙালির তপন দার প্রাণ

হতাশা, কান্না, আর্তনাদ, হাহাকার, অনিশ্চয়তা

মাথার মধ্যে আজ শুধুই ঘুরপাক খাচ্ছে এইসব শঙ্কা-আশঙ্কা

কিন্তু কেন, একটা শরীর জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে তাই?

তপন ঘোষ কি শুধুই একটা শরীর যার শেষ পরিণতি একমুঠো ছাই?

আমরা মানি না,লড়াকু বাঙালির কাছে তপন দার শরীরের মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু তিনি তো বেঁচে আছেন

হ্যাঁ, তপন দা বেঁচে আছেন তার হুংকার, আদর্শ আর পিতৃতুল্য ভরসার মধ্য দিয়ে

তাইতো এই বঙ্গ আজ তপনময়, তাঁর আদর্শে নিয়েছে চলার শপথ

এই বঙ্গের প্রতিটি ফুসফুসে আজ সঞ্চারিত হয়েছে তাপন ঘোষের আবেগ,

আজ তপন দা, প্রান্তিক বাঙালি, লড়াকু বাঙালির তপন দা, এক মৃত্যুঞ্জয়ী শঙ্খনাদ ।।