ইসলামিক বাংলাদেশের ইসলামিক উগ্রপন্থী ও শেখ হাসিনাকে একহাত নিলেন তসলিমা নাসরিন 

0
1062

বঙ্গদেশ ডেস্ক: ভারতে আশ্রয় নেওয়া, ইসলামিক বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। ইসলামিক উগ্রপন্থীদের শিকার হওয়ার জ্বলন্ত উদাহরণ তসলিমা নাসরিন। ইসলামিক বাংলাদেশের হিন্দুদের দুর্দশার বাস্তব চিত্র ও কথা তাঁর “লজ্জা” বইতে তুলে ধরায় ইসলামিক বাংলাদেশের থেকে তাঁকে বিতাড়িত করেছিল ইসলামিক উগ্রপন্থীরা, যাদের অনুসারীরা এখন সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরকে ঘিরে একের পর এক হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।

তাদের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র একটাই। ভারতকে দেখিয়ে দেওয়া যে, ভারতের মুসলিমদেরকে তোষামোদ না করলে, ইসলামিক বাংলাদেশে আমরা সংখ্যালঘু হিন্দুদের সাথে এমনটাই করবো।

তবে ইসলামিক বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত লেখিকা তসলিমা নাসরিন এবারও চুপ থাকেননি। কড়া ভাষায় তিনি ইসলামিক বাংলাদেশের ইসলামিক উগ্রপন্থী ও তাদের এই বাড়বাড়ন্ত হওয়ার পেছনের রাজনৈতিক শক্তিকে, কড়া ভাষায় একহাত নিলেন। নিজের ফেসবুক একাউন্ট থেকে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি বলেন, ” মাদ্রাসার মগজধোলাই হওয়া মূর্খ ছাত্ররা যে দেশে একদিন আগুন জ্বালাবে; গণতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষতা, বাকস্বাধীনতা, সাহিত্য সংস্কৃতি, জ্ঞান বিজ্ঞান বলে যৎসামান্য যা পড়ে আছে, তা পুড়িয়ে  দেবে, তা তো আমরা আগেই জানতাম। এত বড় রাজনীতিবিদ হয়ে শেখ হাসিনা কেন জানতেন না সেটাই আশ্চর্যের। ” https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=2329321430545635&id=100004034030498

উল্লেখ্য, ক্ষমতায় আসার পর থেকে ইসলামিক বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলোকে শেখ হাসিনার অকারণ অর্থ সাহায্য ও তোষণ নীতি চোখে পড়ার মতো। সেই সময় থেকে এখনও পর্যন্ত ইসলামিক বাংলাদেশের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষেরা শেখ হাসিনার এই মাদ্রাসা তথা ইসলামিক শক্তিকে তোষণের বিরোধিতা করলেও তাতে বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করেনি শেখ হাসিনা। ভোটব্যাংকের লোভে তার তোষণ এমনই তীব্র স্থানে গিয়েছে যে এই ইসলামিক শক্তি একসময় তাকে “কওমী মাতা” বলে উপাধিও দিয়েছিল। সেই বিষয়কে মনে করিয়ে দিয়ে তসলিমা নাসরিন আরও বলেন, ” তিনি যখন মাদ্রাসার মাথা আহমদ শফির সঙ্গে কোলাকুলি করলেন, তাঁর দানে দক্ষিণায়, আদরে আহ্লাদে মাদ্রাসাগুলো যে ফুলে ফেঁপে আইসিস এর কারখানা হয়ে উঠবে, তা তো আমরা সাধারণ মানুষেরা জানতাম, এতো বড় রাজনীতিবিদ হয়ে শেখ হাসিনা কেন জানতেন না সেটাই আশ্চর্যের। এখন দেখুন খুন করে কটা সন্ত্রাসী কমানো যায়। মুশকিল হলো, এক মুজিবের রক্ত থেকে লক্ষ মুজিব জন্ম না নিলেও, এক ইসলামি- সন্ত্রাসী থেকে লক্ষ ইসলামি- সন্ত্রাসী জন্ম নেয়। গুলিতে এরা মরবে না, বরং শহীদ হয়ে জান্নাতে যাওয়ার লোভে বন্দুকের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়াবে। এরা মগজে হিংসা বিদ্বেষ ঘৃণা পুরে দেওয়া রোবটের মতো, এরা মাদ্রাসা নামক কারখানায় তৈরি হওয়া ইসলামি রোবট। ” 

পরিশেষে তসলিম নাসরিন বলেন, ” এখনও সময় আছে এদের মানুষ হতে সাহায্য করুন। এখনও মাদ্রাসা নামক কারখানা বন্ধ করে মানবতা সহিষ্ণুতা উদারতার পাঠশালা খুলুন। ” উল্লেখ্য, ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পরেও ইসলামিক উগ্রপন্থীদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি তসলিমা নাসরিন। তাঁকে কলকাতা ত্যাগের জন্য বাধ্য করা হয়। তসলিমা নাসরিনের মাথার দাম ঘোষণা করে ফতোয়াও দেওয়া হয়েছিল এই কলকাতার রাস্তায়। দিনটিকে এখনও পশ্চিমবঙ্গে লজ্জা দিবস হিসেবে পালন করা হয়৷