‘জিহাদ জননী’ শেখ হাসিনা, ইসলামিক বাংলাদেশে ব্লগার অভিজিৎ হত্যার রায় প্রসঙ্গে তসলিমা

0
796

বঙ্গদেশ ডেস্ক:জিহাদীদের হাতে নিহত ইসলামিক বাংলাদেশের ব্লগার অভিজিৎ রায়ের হত্যা মামলার রায় দিয়েছে দেশটির আদালত। মামলাটির নিষ্পত্তি হয়েছে দীর্ঘ ছয় বছর পরে। বিচারে ৫ জিহাদীকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১ জিহাদীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে দেশটির আদালত। এই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ভীষণ বাস্তবিক মন্তব্য করেছেন ইসলামিক বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। মঙ্গলবার একটি ট্যুইটের মাধ্যমে তিনি এই বিষয়ে তাঁর মনোভাব ব্যক্ত করেন।

প্রথম ট্যুইটে তিনি ইসলামিক বাংলাদেশে কিছুটা তো অন্ততঃ বিচার হয়েছে মনোভাব ব্যক্ত করে বলেন, “It took 6 yrs for Bangladesh to reach a verdict for brutally killing Avijit Roy,the free thinking blogger.5 Islamic terrorists from Ansar al Islam,a banned terrorist org,got death penalty.They killed bloggers to stop free thinking.Finally a bit of justice in an Islamized country.” এই কথাগুলো ইসলামিক বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে কিছুটা স্বস্তিদায়ক হলেও তসলিমা নাসরিন তাঁর পরবর্তী ট্যুইটে ইসলামিক বাংলাদেশের আসল বাস্তবতাটি তুলে ধরেছেন, যা বরাবরই মানুষের দৃষ্টিগোচরে চলে যায়।

তসলিমা নাসরিন তাঁর পরবর্তী ট্যুইটে ইসলামিক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসল রাজনৈতিক সত্যকে খোলাখুলি তুলে ধরেছেন। হাসিনা ১০০ জন জিহাদী তৈরী করেন এবং ১০ জনকে মারেন, এমনটাই উদ্ধৃত করে তসলিমা নাসরিন লিখেছেন, “Prime Minister Hasina has two active hands, one is used to create Jihadists, another is to kill jihadists. The problem is she creates 100, and kills 10.  So, 90 jihadists are roaming free in Bangladesh, planning to turn the country into darul islam, the land of Islam.” শেখ হাসিনা যে আদতে সেক্যুলারিজমের মোড়ক দেখিয়ে ইসলামিক বাংলাদেশকে দারুল ইসলাম বানাতে চাইছেন সেটিই মূলত তুলে ধরেছেন তসলিমা নাসরিন।

দারুল ইসলাম হলো সেই রাষ্ট্র, যার অধিকাংশ অধিবাসী মুসলমান, সেখানে মুসলমানদের আধিপত্য পূর্ণাঙ্গভাবে রয়েছে। কাফেরদের (মুসলমান ব্যতীত বাকি সকল ধর্মাবলম্বীকে কাফের বলা হয়) আধিপত্য কম, ইসলামের সকল শাস্তি বিধানও সেখানে প্রয়োগ করতে সক্ষম। যেমন সৌদি আরব। অন্যদিকে আফগানিস্তান ছিল দারুল ইসলামের একটি প্রকৃত চিত্র, যখন মোল্লা উমরের নেতৃত্বে ইসলামী খিলাফত প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল। বাস্তবে ইসলামিক বাংলাদেশ যে এই দারুল ইসলামের পথেই হাঁটছে শেখ হাসিনার হাত ধরে, সেই আসল সত্যকেই ব্যক্ত করেছেন তসলিমা নাসরিন।