ইসলামিক বাংলাদেশের বরিশালে দুর্গা মন্দিরে জিহাদী হামলা, পুড়ে ভস্মীভূত মন্দির

0
968

বঙ্গদেশ ডেস্ক: ইসলামিক বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর পাশবিক জিহাদী নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। একের পর এক হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। ইসলামিক বাংলাদেশের প্রশাসন তদন্তের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হওয়ার আশা করাটাই এক অবাস্তব কল্পনা! সম্প্রতি আরও একটি হিন্দু মন্দিরে ঘটে যাওয়া জিহাদী হামলার ঘটনা সামনে এসেছে।

গত ১১ ই জানুয়ারী, বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত নয়াখালী গ্রামে অবস্থিত একটি দুর্গা মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুর করেছে স্থানীয় জিহাদীরা। রাতের বেলায় মন্দিরে কেউ না থাকায় কোনরূপ প্রতিরোধ করার কেউই ছিল না। ফলে জিহাদীরা একতরফাভাবে পুরো দুর্গা মন্দির ও দুর্গা মায়ের প্রতিমা ভাঙচুর করে এবং মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেয়।

আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে ভস্মীভূত হয় মন্দিরটি। মা দুর্গার প্রতিমা, আসবাবপত্র, পূজার উপাচার ইত্যাদি সব আগুনে পুড়ে গিয়েছে। ইসলামিক বাংলাদেশের জিহাদী জনতাদের ধার্মিক দৃষ্টিকোণ থেকে মূর্তিপূজা হলো “শিরক”। এই শিক্ষা তাদেরকে পারিবারিক ও ধার্মিকভাবে প্রদান করা হয়ে থাকে। ফলে জিহাদীদের দৃষ্টিতে সকল হিন্দু মন্দিরই শিরক এর অন্তর্গত। আর তাই তাদের ধার্মিক শিক্ষা অনুযায়ী “ঈমানী দায়িত্ব” পালনের জন্যই তারা মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর করে থাকে। এছাড়াও হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে এর মাধ্যমে ভীতি তৈরী করে তাদেরকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা ও সম্পত্তি দখলও জিহাদীদের অন্যতম উদ্দেশ্য।

মায়ের মন্দির পুড়িয়ে দেওয়ার খবর পাওয়ার পরে স্থানীয় হিন্দুরা মন্দিরে জড়ো হয়, মন্দিরের অবস্থা দেখে স্থানীয় হিন্দুরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। কারণ বাস্তবে ইসলামিক বাংলাদেশের হিন্দুরা জানেন যে এই মন্দির ধ্বংস করা হলো দেশ থেকে বিতাড়িত হওয়ার বার্তা। প্রশাসন যতোই আশ্বাস দিক, তা আদতে মিথ্যা আশ্বাস ছাড়া কিছুই নয়৷