শিক্ষকতার আড়ালে চলত জঙ্গী নিয়োগ, গ্রেফতার দুই আল কায়েদা জঙ্গী

0
538

বঙ্গদেশ ডেস্ক:কোচবিহার ও বারাসতে শিক্ষকতার পাশাপাশি আল কায়েদা (Al-Qaeda) সদস্য ছিল আবদুর রাকিব সরকার। নিজেকে শিক্ষক পরিচয় দিয়েই জঙ্গি নিয়োগ করত দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের আবদুর। কীভাবে চলত তার এই নিয়োগ? কার নির্দেশমতো চলত সমগ্র প্রক্রিয়া? নাশকতার ছক আদৌও ছিল কি না, তা জানার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা।

উত্তর ২৪ পরগনার খড়িবাড়ি এলাকা থেকে বুধবার রাতে জঙ্গী সন্দেহে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ (STF)। দুজনের মধ্যে একজন কাজি আহসান উল্লাহ, আরেকজন দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের আবদুর রাকিব সরকার। তিন বছর উত্তরপ্রদেশে পড়াশোনা করেছে রাকিব এবং ওখান থেকেই জঙ্গী সংগঠনের সংস্পর্শে আসে ওই যুবক। পরে সরাসরি কাজ শুরু করে জঙ্গী কার্যকলাপে। সূত্রের খবর, কোচবিহার ও বারাসতে শিক্ষকতাও করত রাকিব। সেই সূত্রে শাসনে যাতায়াত ছিল তার। শিক্ষকতার আড়ালেই জঙ্গী নিয়োগ করতে সে।

বুধবার গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার বারাসত আদালতে তোলা হয়েছে তাদের। বিচারক ১৪ দিনের এসটিএফ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ধৃতেরা শাসনের খড়িবাড়ি থেকে কোথায় যেত, কার নির্দেশমতো তারা এসেছিল, নাশকতার ছক আদৌও কিছু ছিল কি না, জেরা করে সেগুলো জানার চেষ্টা করছেন এসটিএফ আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ধৃত আরেকজনের নাম কাজি আহসান উল্লাহ আরামবাগের শান্তা গ্রামের বাসিন্দা হলেও বেশিরভাগ সময় বাইরে থাকত সে। মাঝেমধ্যে গ্রামে এলেও কারও সঙ্গে মিশত না। যদিও তার পরিবারের দাবি, প্রথমে দর্জির কাজ ও পরে পুরনো বাইক কেনাবেচার ব্যবসা করত সে। তবে দু’জনকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সংগঠনের আরও অন্তত ১৭ জনের তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।