এবার খোদ তৃণমূলের অন্দরেই প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ, বিস্ফোরক বিধায়ক

0
510

বঙ্গদেশ ডেস্ক: মমতার পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর। এবার তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে সময় স্বয়ং তৃণমূল নেতাদের মধ্যেই। এবার টিম পিকে, দল ও জেলা সভাপতিকে একহাত নিলেন বিধায়ক নিয়ামত শেখ। শাসক শিবিরের ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোরকে কাঠগড়ায় তুললেন মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত শেখ। তিনি বলেন, ” আজ যদি তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হয়, তার দায় নিতে হবে প্রশান্ত কিশোরকে।” সেই সাথে দলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধেও তিনি ক্ষোভ উগরে দেন। সোমবার ওই সভাটি তৃণমূলের তরফ থেকে বহরমপুরের কাঁটাবাগানে আয়োজন করা হয়েছিল।

প্রথম থেকেই শুভেন্দু অধিকারী প্রশান্ত কিশোরের সংগঠনে অন্তর্ভুক্তির বিরোধী ছিলেন। কিন্তু তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দুর কথা উপেক্ষা করে প্রশান্ত কিশোরকে দল ও সংগঠনের কাজে ব্যবহার করেছেন। সংগঠনে রদবদলের সিদ্ধান্তও প্রশান্ত কিশোরের টিমের সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ীই হয়েছে। জেলায় জেলায় তৃণমূলে সমস্যার শুরু হয় এই রদবলের পর থেকেই। নেত্রীর ভয় উপেক্ষা করে প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন একের পর এক তৃণমূল নেতা। ফলে ভোটের আগে যথেষ্ট অস্বস্তিতেই বলা যায় তৃণমূলকে।

বিধায়ক নিয়ামত শেখ ওই সভায় প্রশান্ত কিশোরকে উদ্দেশ্য করে বলেন; ” আজকে পিকের কাছে আমাদের রাজনীতি শিখতে হবে তাবড় তাবড় রাজনৈতিক নেতারা থাকতেও ? পিকে কী রাজনৈতিক নেতা? কোন দায়িত্বে রয়েছেন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের? সে কি রাজ্যের কোনও নেতা? আমরা জানি না এখনও। আমি মেনে নিলাম পিকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। কিন্তু দলের কোন নেতা বা কোন পর্যায়ে আছেন? আজকে আমাদেরকে ব্যবহার করছে। এই সিস্টেম এলোই বা কোথা থেকে? আমি জানি না পিকে-কে কারা ব্যবহার করছে। ”

পিকের টিমের বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে তৃণমূল নেতাদের ওপর নজরদারি চালানোর অভিযোগও উঠেছিল খোদ তৃণমূলের অন্দর থেকেই। ইতিপূর্বে কুচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা IPAC-এর বিরুদ্ধে সরাসরি বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। প্রকাশ্যে সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি মন্তব্য করেছিলেন, ” ঠিকাদার সংস্থাকে দিয়ে দল চালালে কখনও দলের ভাল হয় না। ” তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত, বিধায়ক মিহির গোস্বামী, বিধায়ক কৃষ্ণপদ সাঁতরার পর আরও এক তৃণমূল বিধায়ক নিয়ামত শেখও প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেন তৃণমূলে।