বঙ্গদেশ ডেস্ক:-সুখবর ভারতীয় পর্য্যটকদের জন্য। রবিবার ভারতে আটটি সমুদ্র সৈকত ‘ব্লু ফ্ল্যাগ’ শংসাপত্র পেয়েছে, পরিবেশ মন্ত্রক জানিয়েছে এই খবর।
এটিকে দেশের জন্য একটি “গর্বের মুহূর্ত” হিসাবে উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকার বলেছেন, এই শংসাপত্রটি ভারতের সংরক্ষণ ক্ষমতা এবং গঠনমূলক উন্নয়নের চেষ্টার একটি বৈশ্বিক স্বীকৃতি।
‘ব্লু ফ্ল্যাগ’ শংসাপত্রটি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত একটি ইকো-লেবেল যেটি গঠিত হয়েছিল পরিবেশ শিক্ষা, ডেনমার্ক” এর দ্বারা।
চারটি প্রধান নীতির ভিত্তিতে ৩৩টি কঠোর মানদণ্ডের সমন্বয়ে।
১) পরিবেশগত শিক্ষা এবং তথ্য,
২) স্নানের জলের গুণমান,
৩) পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা এবং
৪) সংরক্ষণ ও সুরক্ষা এবং সৈকতের বিভিন্ন পরিষেবা।
এক বিবৃতিতে পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থা (ইউএনইপি), বিশিষ্ট সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক জুরি দ্বারা পাঁচটি রাজ্য এবং দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত আটটি সৈকতকে ‘ব্লু ফ্ল্যাগ’ শংসাপত্র প্রদান করেছে। ইউএনডব্লিউটিও, ডেনমার্ক ভিত্তিক এনজিও ফাউন্ডেশন ফর এনভায়রনমেন্টাল এডুকেশন (এফইউই) এবং ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার (আইইউসিএন) মিলিতভাবে সিদ্ধান্তটি নিয়েছে।
এখানে আরো বলা হয়েছে, যে সমুদ্র সৈকতগুলি এই শংসাপত্রের স্বীকৃতি পেয়েছে তারা হ’ল
১) গুজরাটের শিবরাজপুর,
২) দিউয়ের ঘোঘলা,
৩) কর্ণাটকের কাসারকোড এবং পদুবিদ্রি,
৪) কেরালার কাপ্পাদ,
৫) অন্ধ্র প্রদেশের রশিকোন্দা,
৬) ওড়িশার সোনালী এবং
৭) আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের রাধানগর
উপকূলীয় অঞ্চলে দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য “International Best Practices”-এর অধীনে জুরি কর্তৃক ভারতকে তৃতীয় পুরষ্কারও দেওয়া হয়েছে।
“ভারতের জন্য গর্বের মুহূর্ত; সরকার কর্তৃক প্রস্তাবিত ৮টি সমুদ্র সৈকত আন্তর্জাতিক ব্লু ফ্ল্যাগ শংসাপত্রের প্রত্যাশা অর্জন করেছে,” জাভরেকর এক টুইটারের টুইটে বলেছেন।
Proud moment for India; all 8 beaches recommended by government gets coveted International #Blueflag Certification.@narendramodi pic.twitter.com/j38BTnibl0
— Prakash Javadekar (@PrakashJavdekar) October 11, 2020
১৮-ই সেপ্টেম্বর সরকার এই আটটি সমুদ্র সৈকতকে প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক ইকো-লেবেলের জন্য সুপারিশ করেছিল। পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, “এটি একটি অসাধারণ কীর্তি, কারণ কোনও দেশকে একক প্রয়াসে ৮টি সৈকতের জন্য ব্লুফ্ল্যাগ পুরষ্কার দেওয়া হয়নি।” পরে তিনি যোগ করেন, “ভারত, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রথম দেশ যারা বছর ২ বছরের সময়কালের মধ্যেই এই কীর্তি অর্জন করেছে।”
বিবৃতিতে বলা হয়, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতই কেবল এশিয়ার অন্য দেশযারা প্রায় পাঁচ থেকে ছয় বছরের চেষ্টায় কয়েকটি ব্ল্যু ফ্ল্যাগ সমুদ্র সৈকতের সম্মান লাভ করেছে।
এই বিশেষ সমুদ্র সৈকতগুলি হল একটি পরিবেশ-পর্যটন মডেল যা পর্যটক বা সৈকতের ভ্রমণকারীদের পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যকর স্নানের জল, সবরকম সুবিধা, নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং এই অঞ্চলের দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের জন্য প্রচেষ্টা করে। বিশিষ্ট পরিবেশবিদ ও বিজ্ঞানীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি স্বাধীন আন্তর্জাতিক জুরি দ্বারা সুপারিশ করা হয় এই সম্মান পাবার জন্য। ব্ল্যু ফ্ল্যাগ সমুদ্র সৈকতকে বিশ্বের সবচেয়ে পরিষ্কার সৈকত হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে যে ভারত এখন ৫০ টি “ব্লু ফ্ল্যাশ” দেশগুলির স্তরে রয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এই সংখ্যাটি এই জাতীয় ১০০টি সমুদ্র সৈকতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
দেশের সমুদ্রতটগুলি (উপকূলীয় রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রত্যেকে একটি) বিকাশের জন্য ভারত ২০১৮ সালে তার যাত্রা শুরু করেছিল এবং আসন্ন পর্যটন মরসুম ২০২০-তে শংসাপত্রের জন্য আটটি সৈকতের প্রথম দাবী পেশ করেছিল।