-বাংলার ছেলে
শুনে রাখ দুর্বৃত্ত, এবার মেপেছি তোদের খ্যামতা –
বৃদ্ধা মায়ের হত্যাকারীকে চিনিয়ে দিচ্ছে নিমতা।
বাংলা নিজের মা ফিরে চায়, পারবি ফেরাতে মা-কে?
কান খুলে শোন : বাঙালি তোদের শমনকে আজ ডাকে।
মায়ের রক্তে স্নান ক’রে যে উল্লাসে আজ মেতেছিস,
সে-কেবল তোর শাসনের শেষযাত্রার ধ্বনি – দেখে নিস!
ধর্মকে তুই ধুলায় লুটিয়ে ভেবেছিস পাবি নিস্তার?
ওরে মাতৃঘাতীর পতন হবেই, হবে ও-গর্ব ছারখার!
দেশভাঙানী তোষণ খেলায় ভেক ধরেছিস সমতার
মা পিটিয়ে প্রমাণ দিলি দলীয় মায়া-মমতার।
করলে ছেলে অন্য দল মার খাবে মা, চোখের জল
ফেলবে ব’সে মাতৃহারা সন্তানগণ অনর্গল –
এই তো তোদের দলের লাইন, এই তো আইন রাজ্যে;
অষ্টপ্রহর সর্বনাশা প্যাঁচ-পয়জার ভাঁজছে!
ধর্মের কল নড়বে, দারুণ বইছে বাতাস বঙ্গে
ঘুচবে খেলা মাৎস্যন্যায়ের মাতৃপূজার সঙ্গে।
ওগো মা, যে ঘোর যন্ত্রণাতে তোমার পীড়া শেষ,
সেই ব্যথার আগুন করবে প্রসব নূতন বঙ্গদেশ!
ওগো মা, তোমার মুখের আঘাত আমরা ভুলবো না –
ঐ কালশিটে দাগ রইল মনে, আর কোত্থাও না।
ওগো মা, তোমার স্বর্ণমূর্তি আমরা দেখবো রে!
তোমার দুয়ার কালকে যাবেই খুলে সোনার মন্দিরে॥