এবার প্রত্যন্ত গ্রামে বসেও চাকরি সম্ভব, বাড়বে কংর্মসংস্থানের জোয়ার

0
629

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- ভারতের মাটিতে যাতে বহুজাতিক সংস্থাগুলি সহজেই ব্যবসা করতে পারে, তারজন্য মোদী সরকার আনতে চলেছে নতুন বন্দোবস্ত। এই ব্যবস্থার হাত ধরে ভারতের ছোট শহরে এবার বহুজাতিক সংস্থাগুলি সহজেই কর্মী নিয়োগের সুযোগ পাচ্ছে। উপরোন্তু কর্মীরাও পাবেন ঘরে বসে কাজ করার সুযোগ।

কর্ম সংস্থানের জোয়ার

এর আগে, প্রত্যন্ত গ্রামে বসে কোনও বহুজাতিক সংস্থার কর্মী কাজ করবেন , এটা ভাবতে পারতো না সংস্থার ম্যানেজমেন্ট। তবে ভারতে মোদী সরকার সদ্য ‘আদার সার্ভিস প্রোভাইডার গাইডলাইন্স’ আরও সরলীকরণ করে দিয়েছে। ফলে আইটি সংস্থা ও বিপিওগুলির ওপর থেকে একটু একটু করে চাপ কমছে, বাড়ছে আরও ব্যবসার সুযোগ। যার হাত ধরে এখন দক্ষ কর্মীকে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকেও বেছে নিয়ে সহজেই ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর মাধ্যমে বহুজাতিক সংস্থাগুলি কাজ করতে পারবে।

বাড়বে প্রতিযোগিতা,উন্নত হবে ব্যবসা
একজন কর্মীকে ছোট শহর থেকে নিয়োগ করে, তাঁর স্থানান্তর থেকে শুরু করে অফিসে কাজ করা পর্যন্ত বহু ব্যয়ভার বহন করতে হতো বহুজাতিক সংস্থাগুলিকে। অন্যদিকে, কর্মীরাও বহু ক্ষত্রে নিজের ঘর ছেড়ে অন্য শহরে যেতে অসুবিধায় পড়তেন। এমন এক পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মোদী সরকারের নতুন নিয়ম আইটি, বিপিওগুলিকে ব্যবসায়িক নীতি সহজেই নির্ধারণ করার সুযোগ করে দিয়েছে। কর্মীরা স্থায়ীভাবে যেকোনও জায়গা থেকে কাজ করতে পারার সুযোগ সুবিধা পেলে সংস্থার পারফরম্যান্সেও তার প্রভাব পড়বে সঙ্গে সংস্থার‌ও কিছুটা সুরাহা হবে বলে আশা করা যায়।

বাণিজ্যিক মহলের মতামত

অতিমারীর আবহে মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্ত ভারতের বাণিজ্যের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়েই নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন বাণিজ্যিক মহলের। ন্যাসকমের তরফে এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে। তাদের দাবি এটি ‘খেলা ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে’। এই সিদ্ধান্তের হাত ধরে ভারতের বাণিজ্য ও বিশেষত আইটি ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যাপক উন্নতি হবে। কোম্পানিগুলো অনেক সুযোগ পাবে প্রতিযোগিতার বাজারে জোরদারভাবে টিকে থাকার।

ছোট শহর ও গ্রামের সুবিধা

বিশেষজ্ঞমহলের ধারণা, যত ছোট শহর থেকে কর্মী নিযুক্ত হবেন বহুজাতিক সংস্থায়, তত বেশি করে সেই এলাকায় ধীরে ধীরে উন্নয়ন আসবে। কর্মীদের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে ইন্টারনেট থেকে শুরু করে একাধিক সুযোগ সুবিধা এলাকায় আরও বেশি করে আসবে । ফলে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। এর হাত ঘরে ভারত ‘টেক হাব’ হওয়ার পথে বহুধাপ এগিয়ে যাবে বলেই আশা করেছে বাণিজ্যমহল।