ইসলামী মৌলবাদী গুন্ডা দ্বারা প্রহৃত হিন্দু গৃহবধূ

0
670

১) ‘মজরুল আমাকে মুসলমানি বানাতে চায়!’

এক দলিত গৃহবধু গায়েত্রী দেবীকে প্রচন্ড প্রহারের সময় তাঁর পরনের বস্ত্র ছিঁড়ে ফেলে তাঁকে ধর্ম পরিবর্তন করার হুমকি দিয়েছিল মজরুল হুসেন, এক তথাকথিত শান্তিকামী ধর্মের দূত!

উত্তর প্রদেশের আমেথিতে শশাঙ্ক পদ্মভূষণ শঙ্কর নাম এক হিন্দু দলিত ব্যক্তি স্থানীয় সংখ্যালঘু মুসলমান অঞ্চলে একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করেন এবং এক মাসের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দিতেন স্থানীয়দের। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের অন্তর্গত শঙ্করের এই প্রশিক্ষণ সফল ও সুচারুরুপে পরিচালিত হত।

কিন্তু গত ২৪শে জুন শঙ্করের পত্নী গায়েত্রী দেবী ওই কেন্দ্রে উপস্থিত থাকাকালীন স্থানীয় মজরুল হুসেন ও তার তিন সহচর- শাব্বু, ফৈজিয়ব ও রেহান এসে তাঁকে প্রহার করতে শুরু করে। শঙ্কর বাধা দিতে গেলে তাঁকেও অশ্রাব্য গালাগালি ও বেদম প্রহার করতে থাকে! ‘শালে খটিক’ ( তফশিলি জাতি) বলে শঙ্করকে বর্ণবাদি অবমাননাও করে শান্তিকামী দূতেরা। পুলিশ এই বিষয়ে প্রথমে নিশ্চুপ থাকলেও পরে কেন্দ্রিয় মন্ত্রী শ্রীমতী স্মৃতি ইরাণির হস্তক্ষেপে শঙ্করের পরিবারের নিরাপত্তা প্রদান করতে বাধ্য হয়। শঙ্করের বক্তব্য সে দলিত হয়েও সফলভাবে নিজ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা করত বলে ঈর্ষায় জর্জরিত হয়েই মজরুল হুসেন ও তার সহচর এই গুন্ডামি করেছে। মজরুলের নিজের কন্যা এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ছাত্রী। মজরুল নিজের দোষ ঢাকবার জন্য শঙ্করের ওপর নিজের মেয়ের ওপর অশালীন আচরণের অভিযোগ করলে, বাপের এই অভিযোগ খন্ডন করে দেয় মজরুল কন্যা!

———————————————

২) উত্তর প্রদেশ রাজ্যের ভোজপুরে হিন্দু দলিত সম্প্রদায়ের ওপর স্থানীয় ইসলামিক মৌলবাদীদের বিদ্বেষ ও নিপীড়ণের এক উদ্বেগজনক সংবাদ সামনে এসেছে। সলমানি মুসলমান সম্প্রদায় (হজ্জম নামে পরিচিত) সেখানকার দলিত সম্প্রদায়ের ক্ষৌরকার্য করতে অসম্মত হয়েছে নীচ জাতি বলে! পীপলসনা গ্রামের সমগ্র দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ মোরাদাবাদের পুলিসের এসএসপিকে এক লিখিত অভিযোগে এই কথা জানিয়েছে! এই বৈষম্য আজকের নয়, বহু বছর ধরেই হয়ে আসছে বলেও রাকেশ শর্মা নামক এক হিন্দু দলিত ব্যক্তি জানিয়েছেন। দলিত মুসলমান ঐক্যের আলোকে এই বিদ্বেষ ও বৈষম্য কি কোনপ্রকার রেখাপাত করবে দলিত সম্প্রদায়ের মানুষের মনে? যোগেন মন্ডল কেন পাকিস্তানের আইন মন্ত্রী হবার পরেও সব ত্যাগ করে ভারতবর্ষে চলে আসতে বাধ্য হলেন দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ কি তা জানেন? 

———————————————

৩) বিদিশা, মধ্য প্রদেশের এই সুপ্রাচীন নগরীর কথা উঠলেই মৌর্য, শুঙ্গ, গুপ্ত যুগের গৌরবময় ইতিহাসের স্মরণ হয়। ৩৩০০ বছর পূর্বে বিদিশার ঐতিহ্যশালী সাম্রাজ্যের স্থাপত্য, শিল্পকলা, কারুকার্য আজও এক অসামান্য কীর্তির পরিচয় বহন করে। গ্রীক রাজদূত হেলিওডোরাসের দ্বারা স্থাপিত সু-উচ্চ বিষ্ণু স্তম্ভ তৎকালীন স্থাপত্যশৈলীর এক অনন্য উদাহরণ রূপে সাব্যস্ত হয়। স্থানীয় ধীবর সম্প্রদায়ের মানুষ দ্বারা পুজিত এই স্তম্ভের আর এক নাম খাম্বা বাবা। শুঙ্গ বংশের পঞ্চম রাজা ভগভদ্রের রাজ্যকালে গ্রীক রাজদূত হেলিওডোরাসের আগমন ঘটে বিদিশার রাজসভায়, ১৩৬৫ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে। কিন্তু পরবর্তীকালে ইতিবৃত্তকারগণের ভুগ্ন গণনায় ১২০০ সালের অন্তর করায় আজকের ইতিহাসে শুঙ্গ বংশের রাজ্যকাল ১১০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ আবদ্ধ হয়ে গেছে।

অথচ শ্রী বেদবীর আর্যের লিখিত প্রাচীন ভারতের কালপঞ্জির মতে শুঙ্গ বংশের রাজ্যকাল নির্ধারণ করা যায় ১৩৬৫ খ্রীষ্টপূর্বাব্দের সমসাময়িক কাল-কে। প্রত্নতাত্বিক প্রমাণ, অভিলেখন এবং সাহিত্যিক লিপির ভিত্তিতে বেদবীর আর্য এই সময়কাল নির্ধারিত করেছেন। হেলিওডোরাস তক্ষশিলার মহারাজা এ্যান্সিয়াল্কিদাসের মন্ত্রী ছিলেন, রাজা ভগভদ্রের কাছে প্রেরণ করেন ও বিষ্ণু স্তম্ভটির স্থাপনা করেন। স্তম্ভে খোদিত হয় প্রাচীন ব্রাহ্মী লিপিতে রচিত বাণী:

দেবাদিব্যাস বাসুদেবস্য গরুধ্বজ্য অথম

করিতো অ হেলিওডোরিনা ভগ

ভতিনা দিয়াসা পুত্রিনা তক্ষশিলাকেন

যনদতেন অগতেন মহারাজস

অমতলকিতস উপমত শঙ্খসম রন

কাশিপুত্রশা ভগভদ্রস ত্রাতারস

ব্যাসেনা চতুর্দশম্ন রাজেন ভধামানস!

অর্থাৎ দেবাদিদেব পরমদেব বাসুদেব বিষ্ণুর এই গরুড় স্তম্ভটি স্থাপন করেছেন ডিওনের পুত্র ও তক্ষশিলার অধিবাসি পরম বিষ্ণুভক্ত হেলিওডোরাস কর্ত্তৃক। তিনি মহারাজ এ্যান্সিয়াল্কিদাসের আদেশে গ্রীক রাজদূত হিসাবে ত্রাতা রাজা কাশিপুত্র ভগভদ্রের কাছে এসেছিলেন যিনি ১৪ বছর যাবৎ সফলভাবে রাজত্ব করছেন।

বিষ্ণু ভক্তির আরো একটি লিপি খোদিত পাওয়া যায়:

ত্রিনি অমৃতপদনি-সু অনূথিথানি

নয়মতি স্বগম দম চগ অপ্রমদ

অর্থাৎ তিনটি অমর পন্থা যা স্বর্গগমনে সহায়ক: আত্মনিয়ন্ত্রন, সদয়তা ও বিবেকতা!

———————————————

৪) রুকসার কে বিয়ে করার পরেও হিন্দু দলিত সঞ্জয় ধর্মপরিবর্তন না করায় রুকসারের আব্বা ও ভাইজান সঞ্জয়কে বীভৎসভাবে খুন করে! তার শরীরে গুহ্যদ্বার, নেত্রগোলক, ফুসফুস নেই, লিঙ্গচ্ছিন্ন, ওম লেখা উল্কি সমেত দেহত্বক ছুলে দিয়ে দেহ জঙ্গলে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় রুকসারের আব্বা ও ভাইজান! শান্তিকামীদের শান্তির বার্তা আজ আকাশে বাতাসে ছড়াচ্ছে। দলিত ভাইরা, সাবধান হয়ে যান। আজকাল আপনাদের ওপর শান্তিকামীদের বিশেষ নজর পরেছে!